অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর মঙ্গলবার সকালে দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি রাজ্যের চলা রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন।
রাজ্যপাল বলেন “অন্ধকার সময়টা ভোরের ঠিক আগে। টানেলের শেষে আলো থাকবে। আজ একটাই বার্তা পেলাম যে, শীত এলেও বসন্ত কিন্তু পিছিয়ে যেতে পারে না। সামনের দিনগুলিতে ভাল কিছু ঘটবে,”।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল, দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন রাজ্যপাল। তাঁকে রাজ্যের ‘নির্বাচনী হিংসা’র বিষয়ে জানাতে পারেন। সোমবার সন্ধ্যায় সম্ভবত সেই কাজটাই করতে চলেছেন তিনি।
রাজভবন সূত্রের খবর সন্ধ্যে ৬টার সময় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। রাজভবন থেকে যাবেন কলকাতা বিমান বন্দরে।
পঞ্চায়েত ভোট দেখতে শনিবার সকালে রাজভবন থেকে বেরিয়ে ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সন্ধ্যায় রাজভবনে ফিরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজনৈতিক হিংসার সমালোচনা করলেন।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কনসভয় পৌঁছে যায় উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরে। সেখানে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। তারপর রাজ্যপালের কনভয় যায় ব্যারাকপুরে।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মভূমি জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি পরিদর্শন করেন বাণিজ্য মন্ত্রী নাইজেল হাডলস্টন। বিশ্বকবির জন্মস্থানে আসাকে ‘অবিশ্বাস্য অনুভূতি’ বলে ব্যাখ্যা করেন তিনি।
সিভি আনন্দ বোস মন্তব্য করেন, “মানুষের রক্ত নিয়ে রাজনৈতিক হোলি বন্ধ হওয়া উচিত।” এরপরেই শাসকদল তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে, “রাজ্যপাল একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছেন।”
রবিবার রাতেই বাসন্তীতে নিহত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের মানুষজনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন রাজ্যপাল। সোমবার উত্তরবঙ্গ থেকে পদাতিক এক্সপ্রেসে শিয়ালদহ পৌঁছে সোমবারই বাসন্তী রওনা হচ্ছেন তিনি।
কোচবিহার সফরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। দেখা করেন নীশিথ প্রামাণিক-সহ বিজেপি নেতারা। রাজ্যপাল গেলেন বিজেপির নিহত কর্মীদের বাড়িতে। অভিযোগ জানাল বাম আর কংগ্রেসও।