২৭ ডিসেম্বরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে গঙ্গাসাগর মেলার জন্য তিনশো বেড-এর একটি হাসপাতালের ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের বৈঠকের পর মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানালেন যে, মেলায় কোভিড পরীক্ষা করানোর বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে।
ভোর থেকেই লাখ লাখ মানুষ পূণ্য অর্জণ করতে এসেছেন। চলছে তর্পণ ও গঙ্গাস্নান। উল্লেখ্য গতকালই ভিরের কারণে গঙ্গাসাগর মেলায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের।
ভারত বনাম শ্রীলঙ্কার এক দিনের ম্যাচ রয়েছে, তার জন্য একটি বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। বিশেষ ট্রেন ছাড়াও যাত্রীদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন স্টেশনে থামানো হবে গ্যালোপিং ট্রেন।
নবরূপে সজ্জিত ৩টি হেলিপ্যাড সহ আরও বেশ কয়েকটি প্রোজেক্টের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শহর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই দ্বীপ। গঙ্গার মর্ত্যে প্রত্যাবর্তন ও সাগর রাজার পুত্রদের জীবন বিসর্জনের লোকগাঁথাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে এই বিখ্যাত তীর্থস্থান গঙ্গাসাগর। এখানে ছিল সাংখ্যদর্শনের আদি-প্রবক্তা কপিলমুনির আশ্রম।
গঙ্গাসাগর মেলাকে ঘিরে প্রস্তুতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখলেন রাজ্যের সেচ-মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তার সঙ্গে যোগ দিলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা ও জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত সহ অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকরা।
একে পূর্ণিমার ভরা কোটাল তার উপরে নিম্নচাপ দোসর। দুয়ের মিলিত দাপটে নাজেহাল অবস্থা বঙ্কিমনগরবাসীর। দিনভর বৃষ্টির পাশাপাশি নদী বাঁধ ভেঙে জল ঢুকছে গ্রামে। প্লাবিত বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রায় ভিটে মাটি ছেড়ে রাস্তায় আশ্রয় নেওয়ার অবস্থা হয়েছে এলাকাবাসীর।
ভাঙন রুখতে না পারলে বিলীন হয়ে যাবে এই মন্দিরও। অস্তিত্ব হারাতে পারে সুপ্রাচীন তীর্থভূমি গঙ্গাসাগার। ঘূর্ণিঝড় অশনি নিয়ে চিন্তায় পড়েছে প্রশাসন।
পরিসংখ্যান বলছে এই বছর গঙ্গাসাগরে পূণ্য স্নান করেছেন ৩ লক্ষ ভক্ত। পাশাপাশি কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দেন ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৬৬২ জন।
গঙ্গাসাগর মেলা পরিদর্শন ফিরহাদ হাকিমের। সমস্ত ব্যবস্থা কতটা পাকা করা হয়েছে, সরেজমিনে তা দেখার জন্য এদিন গঙ্গাসাগরে পাড়ি ফিরহাদ হাকিমের।