আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ড থেকে দক্ষিণ ছত্তিশগ়ড় পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে অক্ষরেখা। সেই কারমে জলীয় বাষ্প ছুটে আসছে বঙ্গোপসাগর থেকে।
বুধবার থেকেই বৃষ্টি বাড়ছে উত্তরের জেলাগুলোতে। বুধবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে।
হাওয়া অফিসের রিপোর্ট বলছে, উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গেও টানা বৃষ্টি হবে। শনিবারের পর রবিবার বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
রায়গড়, রত্নাগিরি এবং সিন্ধুদুর্গ জেলার জন্য একটি কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে, চৌঠা জুলাই থেকে আটই জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার দিনভর চলে বৃষ্টি। আর এই বৃষ্টির জেরে কয়েকশো প্রতিমা ভিজে গিয়ে ভেঙে যায় বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, শিলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শিলাবৃষ্টি হলে ফসল ও শাক সব্জির বেশি ক্ষতি হবে।
সোমবারও বৃষ্টি রাজ্যের একাধিক জেলায়। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গে এবং দক্ষিণবঙ্গে টানা বৃষ্টি, বাদ নেই কলকাতাও।
প্রবল বৃষ্টির কারণে কোথাও হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বাড়ি কোথাও ব্রিজ। বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা।
রাজ্যের নদীরগুলির পাশাপাশি বীরভূমের নদ-নদীগুলিতেও জল বেড়ে গিয়েছে। ঝাড়খণ্ডের সিকাটিয়া জলাধার থেকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে নদীগুলিতে আরও জলস্তর বেড়ে যায়।
রাজ্যের একাধিক জেলা জলমগ্ন। ৮টি বিদ্যুতের সাব স্টেশন এবং ৫০০০ হাজারের বেশি ট্রান্সফর্মার ইতিমধ্যেই জলের তলায়।