১৫ বছর বা তার কম বয়সী শিশুদের শারীরিক সুরক্ষার উদ্যোগে হাম ও রুবেলার প্রতিষেধক টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হচ্ছে নতুন বছরের শুরু থেকেই।
কলকাতার ৩৪টি পুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। প্রতিটি বরোতে দুটি করে স্বাস্থ্য কেন্দ্র বেছে নেওয়া হয়েছে। কয়েকটি সরকারি স্কুলেও ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণ চলে।
২০০৮, ২০০৯ এবং ২০১০ সালে জন্মানো শিশুরা এই পর্বে টিকাকরণের জন্য যোগ্য হবে। ১২ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে যারা, তাদের হায়দ্রাবাদ-ভিত্তিক বায়োলজিক্যালস-ই দ্বারা তৈরি Corbevax নামের টিকাই দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে।
বায়োলজিক্যাল ই-এর কর্বোভ্যাক্সের তৈরি টিকা ১২-১৪ বছর বয়সীদের দেওয়া হবে। ন্যাশানাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজারি গ্রুম অন ইমিউনাইজেশন (NTAGI)১২-১৪ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার সুপারিশ করেছে বলেও জানিয়েছে সূত্র। সেই সুপারিশ মেনেই এই মঙ্গলবার থেকে এই বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হবে।
এই টিকার মাধ্যমে সরাসরি এক ব্যক্তির ডিএনএ-তে প্লাজমিড হিসেবে প্রবেশ করানো হয় এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে জোরদার করা হয়। প্লাজমিডগুলি সার্স কোভিড-২-এর স্পাইক প্রোটিনের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে।
এক বছর পূর্ণ হল ভারতের করোনভাইরাস টিকাকরণ অভিযানের (India Covid-19 Vaccination Drive)। ১৫৬ কোটি ডোজেরও বেশি টিকাকরণ হলেও, মোদী সরকার লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ।
কোভিড-১৯ মহামারির (COVID-19 Pandemic) তৃতীয় তরঙ্গের আশঙ্কার মধ্যেই শুরু হল ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ (Covid vaccination for 15-18 year)। কোউইন (CoWIN) অ্যাপে আট লক্ষেরও বেশি কিশোর-কিশোরীর নাম নিবন্ধিত করেছে।
সম্প্রতি সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল যে এবার ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে সকলেই করোনার টিকা নিতে পারবে। সোমবার থেকেই শুরু হচ্ছে তাদের টিকাকরণ। কয়েকদিন আগেই একথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
টিকাকরণের জন্য ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে নাম নথিভুক্তিকরণ প্রক্রিয়া। কো-উইন ও আরোগ্য সেতু অ্যাপ থেকে নাম রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে সেই প্রক্রিয়া।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশ জুড়ে টিকা দান উৎসব শুরু হয়েছিল। দেশবাসীকে করোনা মোকাবিলার নয়া অস্ত্র সেদিন হাতে তুলে দিয়েছিল কেন্দ্র।