চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন থেকে আগামী শনিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে।
চাতক পাখির অপেক্ষা কি আদৌ শেষ হতে চলেছে! কবে আসবে বৃষ্টি! আদৌ আসবে তো? হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী সোমবার থেকে রাজ্যের কোথাও তাপপ্রবাহের সতর্কতা নেই।
বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বইতে পারে। ৫ মে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদে। ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝড়ো হাওয়া বইবে।
বৈশাখের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গিয়েছে। দক্ষিণ ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর বেঙ্গালুরুতেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি।
তাপমাত্রার পারদ চড়ছে হুহু করে। তার জন্য বিজ্ঞানীরা মূলত জলবায়ুর পরিবর্তনকেই দায়ী করেছেন। সমুদ্রের জলের উষ্ণতা বাড়ছে দ্রুত।
গত ১৫ বছর এপ্রিল মাসের তাপমাত্রা অনুসারে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। শুধু তাই নয়, গত আট বছরের মধ্যে এই শহরের এটি ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
প্রায় সমস্ত জেলার তাপমাত্রার বেড়েছে ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মত। কলকাতার তাপমাত্রা ছিল ৩৮ডিগ্রি। মালদহেরও তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
প্রায় সমস্ত জেলার তাপমাত্রার সামান্য কমেছে ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মত। কলকাতার তাপমাত্রা ছিল ৩৮ডিগ্রি। মালদহেরও তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই চড়চড় করে বাড়বে তাপমাত্রা। এমনটাই খবর দিল হাওয়া অফিস। কলকাতার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে হঠাৎ বৃষ্টির সম্ভাবনাও ঘুচতে চলেছে।
রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে দুই ডিগ্রি কম এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও ৩১ ডিগ্রির মতো যা স্বাভাবিকের চেয়ে দুই ডিগ্রি কম থাকবে।