হিন্দু ধর্মে পুজোর অনেক নিয়ম রয়েছে। পুজোর সময় রীতিনীতি থেকে শুরু করে সেই নিয়মগুলি মেনে চলা অত্যান্ত জরুরি। যার মধ্যে একটি হল 'ঘোমটা'। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী পুজোর সময় মহিলাদের শাড়ির আঁচল দিয়ে মাথা ঢেকে রাখতে হয়।
বুধবার দিনটি উৎসর্গ করা হয়েছে সিদ্ধাদাতা গণেশকে। অনেকেই বুধবার বাড়িতে গণেশ পুজো করেন। এবার বুধবার করে গণেশ পুজো করার সময় পালন করুন কিছু টোটকা। শাস্ত্র মতে, প্রতি বুধবার এই টোটকা পালন করে গণেশের পুজো করলে জীবনের সকল জটিলতা থেকে মিলবে মুক্তি। তেমনই ঘটবে আর্থিক উন্নতি। জেনে নিন কী কী করবেন।
শ্রাবণ মাস ভগবান শিবকে উৎসর্গ করা হয়। এই মাসের আজ শেষ সোমবার। আজ পালন করুন শিবের এই পাঁচ টোটকা। কিংবা যে কোনও সোমবার এই টোটকা পালন করা যায়। বিশেষ টোটকা মেনে শিব পুজো করলে মিলবে উপকার। জেনে নিন কী কী করবেন।
মঙ্গলবার রাতে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা দেবীর স্নান পর্বের পর যখন তাঁদের বেশভূষা পরানো হচ্ছিল তখনই ঘটে দুর্ঘটনা। তবে, ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। বর্তমানে শুরু হয়েছে মেরামতির কাজ।
এই সপ্তাহে, শুক্রবার, ১৫ জুলাই থেকে পঞ্চকও অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা ২০ জুলাই, বুধবার শেষ হবে। এই সপ্তাহে সোম প্রদোষ ব্রত, সত্যনারায়ণ ব্রত, আষাঢ়ী পূর্ণিমা, গুরু পূর্ণিমা, নাইটিঙ্গেল ব্রত, গণেশ সংকষ্ট চতুর্থী ইত্যাদির আয়োজন করা হবে।
শনিদেবকে বিচার আর শাস্তির দেবতা হিসেবে মনে করা হয়। শনিদেবতা একবার রেগে গেলে বা কুপিত হলে তার পরিণতি ভয়ঙ্কর হতে পারে বলেও মনে করা হয় হিন্দুশাস্ত্রে।
শুক্লপক্ষে পালিত গণেশের ব্রতকে বলে বিনায়ক চতুর্থী আর ক্ষয় প্রাপ্তির ব্রতকে বলে সংকষ্টী। তিনি অনুসারে আজ পালিত হচ্ছে বিনায়ক চতুর্থী। ৩ জুন চতুর্থী তিথি শুরু হবে দুপুর ১২.১৭ মিনিটে। থাকবে রাত ২.৪১ মিনিট পর্যন্ত। পুজোর শুভ সময় ১০.৫৬ মিনিট থেকে ১.৪৩ মিনিট পর্যন্ত।
সংকষ্টী চতুর্থী পালিত হবে ১৯ মে, বৃহস্পতিবার। তিথি পড়ছে ১৮ মে রাত ১১.৩৭ মিনিটে। আর তিথি ছাড়বে ১৯ মে রাত ৮.২৪ মিনিটে। অর্থাৎ আজ সারা দিন সময় রয়েছে দেবতার আরাধনার জন্য। আজ সকালে উঠে স্নান সেরে এই ব্রত পালন করুন।
প্রতি মাসে দুটি পক্ষ থাকে। এর মধ্যে একটি কৃষ্ণ ও অপরটি শুক্ল পক্ষ। শুক্ল ও কৃষ্ণ পক্ষের ত্রয়োদশীতে ভগবান শঙ্করের পুজো করা হয়। এই দিন প্রদোষ উপবাস পালন করা হয়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসরে, প্রদোষ উপবাস পালনে ব্যক্তির মনের সকল মনস্কামনা পূরণ হবে। মোক্ষ লাভ করবে।
ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে হিন্দুদের মধ্যে গঙ্গা সপ্তমীর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এই দিনে লোকেরা গঙ্গা স্নান করে এবং নিয়ম অনুসারে মা গঙ্গার কাছে প্রার্থনা করে। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে ভোরে উঠে গঙ্গায় স্নান করে নিয়ম করে মা গঙ্গার পুজো করলে মানুষ সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পায় এবং তাদের আর্থিক কষ্ট দূর হয়।