বুধবার তৃণমূল কংগ্রেস সাংদ ডেরেক ও'ব্রায়েন বলেছিলেন, তৃণমূল ও প্রশান্ত কিশোরের আই-প্যাক এক নয়। উভয়ের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট পার্থক্য রয়েছে।
শুক্রবার তৃণমূলের পুরভোটের প্রার্থী ঘোষণার আগে মমতার কালীঘাটের বাড়িতে পৌছলেন প্রশান্ত কিশোর। তৃণমূলের তালিকা প্রার্থী নিয়েই মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করবেন প্রশান্ত কিশোর।
মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা বলেছেন, দলের ১৭ বিধায়কের মধ্যে ১১ জন ঐক্যবদ্ধ হয়ে দল ছা়ড়ার এই সিদ্ধন্ত নিয়েছেন। রাজ্যের প্রতি সমস্ত প্রতিশ্রুতি তাঁরা পালন করবেন।
ছোট্ট ভিডিওতে শোনা গেছে চন্নি প্রশান্ত কিশোরের জন্য সওয়াল করেন। কিছুটা একই সুর শোনা গিয়েছিল হরিশ চৌধুরীর গলায়। মোটের ওপর পঞ্জাবের শীর্ষ নেতৃত্ব বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করার বিষয়ে প্রায় একমত।
মমতা বলেন 'বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার পরিবর্তে তারা (কংগ্রেস) বাংলায় আমার বিরুদ্ধে আমার দলের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।
আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই অশনি সংকেতকে ঠেকাতে মাঠে নামলেন খোদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি স্বয়ং। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরকে তুলোধোনা করে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।
সম্প্রতী সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি প্রশ্নোত্তোর পর্বে যোগ দিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। সেখানেই তিনি বলেছেন আগামী কয়েক দশক বিজেপি ভারতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।
প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। তারপর থেকেই কংগ্রেসের অন্দরে গুঞ্জন প্রশান্ত কিশোরকে কংগ্রেস সদস্য হিসেবেই চাইছেন রাহুল প্রিয়াঙ্কা।
সদ্যো শেষ হওয়ার বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগেই নাকি প্রশান্ত কিশোর ভবানীপুর কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় নিজের নাম তুলেছিলেন। ঘটনাচক্রে শনিবার তা প্রকাশ্যে এসেছে।
প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করছেন সনিয়া গান্ধী। কংগ্রেসে তাঁর যোগদান নিয়ে দলের নেতাদের মতামত নিচ্ছেন তিনি।