বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠে পৌষ মেলা আয়োজন করবে জেলা প্রশাসন। প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই বোলপুরের মহকুমা প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বভারতীর তরফে বলা হয়েছে, মেলা সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যয় বোলপুর মহকুমা প্রশাসনকে বহন করতে হবে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বা শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট কোনও ব্যয় বহন করবে না।
সোমবারই কর্মসিমিতির বৈঠকের পর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট জানিয়ে দেয় চলতি বছর পৌষমেলা আয়োজন করা যাবে না।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় প্রায় সবাই ভেবেছিলেন যে হয়ত পৌষমেলা হতে চলেছে। সে আশায় জল ঢেলে দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
৭ পৌষ সকালে বিশেষ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই মেলার সূচনা হয়। তারপর চলে ৮, ৯ ও ১০ পৌষ পর্যন্ত। সারা পৃথিবী থেকে অগুন্তি পর্যটক এসে শান্তিনিকেতনে ভিড় জমান। ফলে, এটি আনন্দ এবং সংস্কৃতির উদযাপনের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষের একটা বিরাট লাভের উৎসও হয়ে ওঠে।
বিতর্ক তৈরি হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম ছাড়া এই ফলক ঘিরে। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে হুঁশিয়ারি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিভিন্ন এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন পালনের জন্য বাংলার মানুষকে উৎসাহ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
‘আমি ওদের ঔদ্ধত্য দেখছি। ওরা নাকি অমর্ত্য সেনের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেবে!’ সাংবাদিক সম্মেলন থেকে গর্জে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবারই শান্তিনিকেতন সফরে যাবেন রাষ্ট্রপতি দৌপদী মুর্মু। এর আগেই ফের অধ্যাপক সংগঠন বনাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিতর্ক।
সংবাদমাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে সম্মানহানিকর মন্তব্য করার জন্য সংবাদমাধ্যমেই ক্ষমা চাইতে হবে, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি।