প্রতিবেদনটি উপস্থাপনের পর মহুয়ার বিরুদ্ধে বহিষ্কার প্রস্তাব আনার প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এদিকে সংসদের বাইরে দাঁড়িয়ে এই রিপোর্টের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন মহুয়া মৈত্র।
সংসদ অধিবেশন শুরুর প্রথম দিনেই, এথিক্স কমিটি তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের নগদ ভোটের ক্ষেত্রে তাদের রিপোর্ট পেশ করবে। সূত্র বলছে, কমিটি তৃণমূল সাংসদের সদস্যপদ বাতিলের সুপারিশ করেছে। এমনটা হলে প্রথম দিন থেকেই অধিবেশন বেশ উত্তাল হতে পারে।
প্রাথমিক তদন্তের অধীনে সিবিআই কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে বা তল্লাশি চালাতে পারবে না। তবে তারা তথ্য চাইতে পারে ।
এখন থেকে নতুন সংসদ ভবনে সব অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। বিরোধী দলগুলোও সরকারকে কোণঠাসা করতে পুরোপুরি প্রস্তুত হবে। ৫টি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের কারণে এবার ডিসেম্বর থেকে অধিবেশন শুরু হচ্ছে।
এথিক্স কমিটি বহিষ্কারের সুপারিশ করলেও এখনই সিদ্ধান্ত নেোয়া হচ্ছে না। স্পিকার এই প্রস্তাব পেশ করবেন সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে।
কমিটি বুধবারই তার খসড়া রিপোর্ট তৈরি করেছিল, যেখানে মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি সত্য বলে বিবেচিত হয়েছিল। কমিটি খসড়া রিপোর্টে মহুয়াকে লোকসভা থেকে অযোগ্য ঘোষণা করার সুপারিশ করেছিল।
টাকা নেওয়া এবং সংসদে প্রশ্ন করার মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ঝামেলা বাড়তে চলেছে। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে টুইট করে জানিয়েছেন যে তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে লোকপাল অভিযুক্ত সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
মঙ্গলবার হাউজ খাস থানার স্টেশন হাউসে এক অফিসারের কাছে চিঠি লিখে জয় অনন্ত দেহাদ্রি অভিযোগ করেছেন, গত ৫ ও ৬ নভেম্বর জোর করে মহুয়া তাঁর বাড়িতে হাজির হন।
মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্টের খসড়া তৈরি হতে পারে মঙ্গলবার। দুই দিন পরেই বলছে সংসদীয় এথিক্স কমিটির বৈঠক।
লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে লেখা তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের চিঠি রীতিমত বিস্ফোরক। তিনি বলেছেন, এথিক্স কমিটিতে তাঁকে মৌখিকভাবে বস্ত্রহরণ করা হয়েছে।