রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে হিসার ঘটনা খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এল বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। বড় জয়ের মধ্যেও অস্বস্তি ঘাসফুল শিবিরে।
দিল্লি থেকে ফিরেই রাজ্যপাল গেলেন ভাঙড়ে। সেখান থেকে তাঁর বাসন্তী আর ক্যানিং যাওয়ার কথা রয়েছে। রাজ্যপাল হিংসা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই গণনা শুরু হয়েছে। তবে অশান্তিছবি এখনও অব্যাহত। গণনাকেন্দ্র থেকে শুরু করে অন্যত্র হিংসার ঘটনা ঘটছে। আক্রান্তের তালিকায় বিরোধীরা।
পঞ্চায়েত ভোট দেখতে শনিবার সকালে রাজভবন থেকে বেরিয়ে ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সন্ধ্যায় রাজভবনে ফিরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজনৈতিক হিংসার সমালোচনা করলেন।
আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করতে চাই আপনি কী ধরনের গণতন্ত্র চান? আজ আপনার হাতেও রক্ত লাগল। বললেন অধীর চৌধুরী।
কোথাও চলছে দেদার ছাপ্পা ভোট, কোথাও ১ ঘণ্টাতেই ভোটগ্রহণ শেষের পরিস্থিতি, কোথাও লুঠ হয়ে গিয়েছে ব্যালট, কোথাও আবার ভোটকেন্দ্রের বাইরেই উদ্ধার হল তাজা বোমা। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করে ভোট বয়কট করলেন এলাকার মানুষ। হিংসায় উত্তপ্ত পঞ্চায়েত ভোট।
পঞ্চায়েত ভোটের মাত্র ২ দিন আগে ৬ জুলাই সাংবাদিক বৈঠক করে সরাসরি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকেই অশান্তি রুখতে না পারার জন্য কটাক্ষ করলেন তিনি।
কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়ের হাতে নতুন ‘শান্তি ও সম্প্রীতি কমিটি’-র ভার ন্যস্ত করেছেন বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
রবিবার রাতেই বাসন্তীতে নিহত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের মানুষজনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন রাজ্যপাল। সোমবার উত্তরবঙ্গ থেকে পদাতিক এক্সপ্রেসে শিয়ালদহ পৌঁছে সোমবারই বাসন্তী রওনা হচ্ছেন তিনি।
কী হবে এই ‘শান্তি ঘর’-এ? জানা যাচ্ছে, এই কক্ষে একটি বিশেষ ফোন নম্বর এবং একটি ইমেল আইডি চালু করা হয়েছে রাজভবনের তরফে। সাধারণ মানুষ সরাসরি ওই নম্বরে ফোন যেকোনও প্রান্তের অশান্তির খবর পৌঁছে দিতে পারবেন।