শেখ হাসিনা আরও বলেছেন, এই ঘটনা নিয়ে প্রচুর তথ্য রয়েছে প্রশাসনের হাতে। এটি প্রযুক্তির যুগ। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করেই খুঁজে বার করা হবে।
বাংলাদেশে (Bangladesh) দূর্গা মণ্ডপে (Durga Mandap) হামলা ও তাই নিয়ে হিন্দুদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার রীতিমত সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে সেদেশের প্রশাসনকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে মুখ খুলেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। তিনি বলেন, কুমিল্লার (Coumilla) ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। এই ঘটনায় জড়িতদের কাউকেই ছেড়ে দেওয়া হবে না। অভিযুক্তরা যে ধর্মের মানুষ হোক না কেন, তারা শাস্তি পাবে। তেমনই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। পিটিআই আরও জানিয়েছে বাংলাদেশেকর রাজধানী ঢাকার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্ত্রী মন্দির থেকেই কুমিল্লার ঘটনা নিয়ে বার্তা দিয়েছেন সেখ হাসিনা। এই অনুষ্ঠানে হিন্দুদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা আরও বলেছেন, এই ঘটনা নিয়ে প্রচুর তথ্য রয়েছে প্রশাসনের হাতে। এটি প্রযুক্তির যুগ। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করেই খুঁজে বার করা হবে। দূর্গা পুজোকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েক দিন ধরে রীতিমত অশান্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। দূর্গা মণ্ডপ ও হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় কমপক্ষে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ প্রশাসন। দেশের ২২টি জেলায় আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। স্পর্শকারত এলাকাগুলিতে বাড়ান হয়েছে নিরাপত্তা। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন বাংলাদেশ বরাবরই অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। এখানে এজাতীয় কাজ বরদাস্ত করা হবে। কিছু দুষ্টচক্র রয়েছে যারা মানুষের ঐক্য নষ্ট করতে চায়।
IPL দলে সুযোগে করে দেওয়ার নাম করে টাকা হতানোর অভিযোগ, গ্রেফতার বাংলার তরুণ ক্রিকেটার
Bangladesh: দুর্গা পুজো ঘিরে অশান্ত বাংলাদেশে নিহত কমপক্ষে ৩, কুমিল্লার ঘটনায় আটক ৩৫
Dashami: বিসর্জনের ঢাঁকে কাঠি পড়েছে, দশমীর দিনে প্রতিমা নিরঞ্জনের প্রস্তুতি গঙ্গার ঘাটে
সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ভাইরাল বাংলাদেশের দূর্গা মণ্ডপে ভাঙচুর ও হামলার ঘটনার ছবি। কোথায় আবার প্রতিমা ফেলে দেওয়া হয়েছে পুকুরে। বাংলাদেশ সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলায় রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেছেন, বাংলাদেশে একটি ধর্মীয় সমাবেশে হামলা ও অপ্রীতিকর ঘটনার তথ্য ভারত পেয়েছে। যা উদ্বেগের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের সরকার যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয় তারও আবেদন জানান হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রশাসন হাজীগঞ্জে সমাবেধেশের ওপর নিষোজ্ঞা জারি করেছে। য়এই এলাকায় ধর্মীয় কারণে গুলি করে চার জনকে হত্যা করা হয়েছে। সংঘর্ষে আরও দুই জন গুরুতর আহত হয়েছে। ঢাকা থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে কুমিল্লায় একটি দূর্গাপুজোর মণ্ডপে কোরানের অবমাননা করা হয়েছে- এমনই অভিযোগ ঘটনার সূত্রপাতর। তারপর থেকে হিংসার ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে কুমিল্লা, হাজীগঞ্জ, উত্তর ও পশ্চিম উপকূলীয় জেলা, হাতিয়াতে। বংশখালীতে একটি মন্দিরেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এজাতীয় খবর ছড়িয়ে পড়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে বলেও দাবি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।