'থালা বাজাতে বলে এবার হাতে হ্যারিকেন', মোদীর 'গিমিক'-এর পিছনে বিজ্ঞান খুঁজছেন বামেরা

আগামী শনিবার রাত ৯টায় মোমবাতি জ্বালাতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

অনেক খুঁজেও এর পিছনে কোনও বিজ্ঞান খুঁজে পাচ্ছেন না বামেরা

লকডাউনে খাদ্য সংঙ্কট থেকে দেশে চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব রয়েছে

এই পরিস্থিতিতে মোমবাতি জ্বালানোর অনুরোধ মোদীর গিমিক বলে অভিযোগ বামেদের

 

amartya lahiri | Published : Apr 3, 2020 12:12 PM IST / Updated: Apr 03 2020, 06:10 PM IST

বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, শুক্রবার সকাল ৯টায় দেশবাসীকে ভিডিও বার্তা দেবেন। সেই বার্তায় তিনি বলেছেন রবিবার রাত নটায় সব আলো নভিয়ে দিয়ে মোমবাতি জ্বালাতে। লকডাউনের পিছনে বিজ্ঞান আছে। কিন্তু, মোমবাতি জ্বালার পিছনে বিজ্ঞানটা কী? সরাসরি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিল বামপন্থীরা। জনতা কার্ফুর দিন 'থালা বাজানো'র পর ঘর অন্ধকার করে 'মোমবাতি জ্বালানো' মোদীর আরেকটি গিমিক বলে অভিযোগ তাদের।

বস্তুত, ২৪ মার্চ রাত আটটায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন মধ্যরাত থেকে ২১ দিনের জন্য সম্পূর্ণ ভারতে লকডাউনের কথা। কিন্তু তারপরের কয়েকদিনে দেখা গিয়েছে ভয়াবহ দৃশ্য। বিভিন্ন রাজ্য থেকে গণপরিবহনের অভাবে পরিবার নিয়ে পায়ে হেঁটে নিজ রাজ্যে ফিরতে দেখা গিয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। তাঁদের কষ্টে প্রাণ কেঁদেছে আপমর ভারতবাসীর। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেচেন, তাতে অনেকেই আশা করেছিলেন এদিন প্রধানমন্ত্রী সম্ভবত তাঁদের নিয়ে কিছু বলতে পারেন। তাদের কষ্টের সুরাহা কীভাবে করা যায় সেই বিষয়ে কিছু আলোকপাত করবেন। কিন্তু তা না করে তিনি আলো নিভিয়ে দিতে বলে, দেশকে আরও অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিলেন।

লকডাউনই জন্ম করোনা আর কোবিডদের, আলাপ করুন তাদের সঙ্গে

করোনা-রোধে হল না সরায়ুর অমৃত আহরণ, অযোধ্যায় 'ইন্দিরা' অভিশাপে বিদ্ধ মোদী ও যোগী

ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের ওপর স্প্রে, যোগীর রাজ্য নিয়ে সরব স্বস্তিকা

সুজন বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ যেভাবে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে, তাতে লকডাউন ছাড়া গতি নেই। সামাজিক দূরত্ব বলতে অবশ্য নারাজ সিপিএম নেতা, তবে দৈহিক দূরত্ব রাখাটা জরুরী ও বিজ্ঞানসম্মত। কিন্তু, জনতা কার্ফুর বিকেলে খোল করতাল বাজিয়ে এলাকা প্রদক্ষিণ করতে বের হওয়া যেমন বিজ্ঞানের পরিপন্থী ছিল, তেমনই মোমবাতি জ্বালানোটা মোদীর নিজের দিকে প্রচারের আলো টানা ছাড়া কিছুই নয় বলে তাঁর অভিযোগ।

তিনি আরও বলেন, মানুষ বিপদের মধ্যে আছেন। লকডাউন যেমন জরুরী, তেমন সেই লকডাউনে যাতে সাধারণ মানুষ বিপদে না পড়েন তা দেখাটাও সমান জরুরী। তাতেই করোনাভাইরাস-কে প্রতিহত করা যাবে। বহু মানুষ লকডজাউনের ফলে খাদ্যের অভাবে, অর্থের অভাবে ভুগছেন। চিকিৎসকরা পরীক্ষার কিট, মাস্ক, প্রতিরোধী সরঞ্জামের অভাবে ভুগছেন। সেইসব সমস্য়ার কোনও সুরাহার বার্তা না দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও একবার তাঁর প্রচারলোভী রুপটাকেই স্পষ্ট করে দিলেন বলে অভিযোগ করেছেন এই সিপিএম নেতা। এতে করে অভাবী মানুষদের নিয়ে রসিকতা করা হল বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

 

Share this article
click me!