একজনের প্রাণ গিয়েছে, উত্তরবঙ্গেও ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। মৃতের চার আত্মীয়ের শরীরে সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: আক্রান্তের পরিবারের আরও দু'জন সংক্রমিত, করোনা আতঙ্ক বাড়ছে শেওড়াফুলিতে
এ রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত সংখ্যা। মারাও গিয়েছেন বেশ কয়েকজন। কিন্তু সংখ্যাটি ঠিক কত? সাংবাদমাধ্যমকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত এ রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ৩ জন। কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রচার পাওয়ার জন্য সব রোগীকেই করোনা আক্রান্ত বলে দাবি করছে! সংবাদমাধ্যমের সরকারি নথিতে ভরসা করা উচিত। যদিও এখনও পর্যন্ত যা পরিসংখ্যান পাওয়া গিয়েছে, তার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্যের কিন্তু মিল নেই। তথ্য অনুযায়ী, এ রাজ্যে ৩৭ জনের শরীরের করোনা জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। বুধবার বিকেলে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে নয়াবাদের এক বৃদ্ধ, ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাত।
আরও পড়ুন: করোনার বিরুদ্ধে লড়াই, বীরভূমে গান গেয়ে সচেতনতার পাঠ এসপিডিও-র
এদিকে আবার করোনার ছোবলে উত্তরবঙ্গের কালিম্পংয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক মহিলা। দিন সাতেক আগে শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। উপসর্গ দেখে সন্দেহ হয় চিকিৎসকদের, রোগীর লালারস বা সোয়াব পরীক্ষা জন্য পাঠান তাঁরা। করোনা পজিটিভি রিপোর্ট আসে। শেষপর্যন্ত রবিবার গভীর রাতে মারা যান ওই মহিলা। সূত্রের খবর, তিনি নাকি চেন্নাইয়ে গিয়েছিলেন। যদিও সেই তথ্য গোপন রাখা হয় বলে অভিযোগ। মৃতার মেয়ে ও হাসপাতালের এক চিকিৎসককে রাখা হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে। এরইমধ্যে আবার কালিম্পংয়ে মৃত মহিলার চার আত্মীয়ের করোনা আক্রান্ত হওয়া খবর দিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।