ভারতের করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গ সুনামির আকার নিয়েছে। নিত্যদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ভারতের এই করোনা সুনামির জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা আগেই দায়ি করেছিলেন করোনাভাইরাসের ভারতীয় রূপ। সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে করোনাভাইরাসের চতুর্থতম পরিবর্তন হল করোনার ভারতীয় রূপ। এটি দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম বলেও অনুমান গবেষকদের। তাই এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে করোনার নতুন রূপের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর কোভিড টিকা? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, করোনাভাইরাসের ভ্যাইরান্ট বি ১৬১৭-র বিরুদ্ধে টিকাগুলির কার্যকর হবে। তেমনই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারতীয় কোভিড স্ট্রেইন বিশ্বের কাছে 'উদ্বেগজনক', সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ...
ভারতের করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ভয়ের, সঠিক তথ্যের ওপরে জোর সৌম্যা স্বামীনাথনের ..
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভারতীয় প্রতিনিধি ডক্টর রোডেরিকো এইচ ওফরিন জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। তাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করছেন ভারতীয় করোনা স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে রীতিমত কার্যকর ভ্যাকসিনগুলি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে স্পষ্ট,করে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে ভারতে করোনার যে তাণ্ডব চলছে তার জন্য দায়ি ভারতীয় করোনার রূপ। এটিক করোনার চতুর্থ পরিবর্তন বলেও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
বিহারের পর এবার যোগীর রাজ্যে গঙ্গায় শাতাধিক দেহ, করোনা মহামারিকালে আতঙ্কে ভুগছে স্থানীয়রা ...
অন্যদিকে মার্কিন একটি গবেষণায় চালান হয়েছিল এই বিষয়ে। মার্কিন বিজ্ঞানীদের সঙ্গে ভারতীয় গবেষণকরাও সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। সেই সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, করোনার চতুর্থ রূপে টিকাপ্রাপ্তদেরও দ্রুত সংক্রমিত করতে করে। তবে টিকা নেওয়া থাকলে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম হন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। আক্রান্ত ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কম হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের রিপোর্টে বলা হয়েছে সার্স কভ ২ বি ১.১৬৭১ ভ্যাকসিন এলিটেড অ্যান্টিবডিগুলির সংবেদনশীল। যেকোনও রোগ ছাড়াই এটি দ্রুত সংক্রমিত করতে পারে। টিকাপ্রদানের মাধ্যমেই অ্যান্টবটিগুলিকে সক্রিয় করে সংক্রমণ এড়ানো যেতে পারে বলেও গবেষণায় বলা হয়েছে। একই সঙ্গে জোর দেওয়া হয়েছে টিকাই একমাত্র সংক্রমণের মাত্র কমাতে পারে। মানুষকে সুরক্ষিত করতে পারে।