আইসিসির বৈঠকেও নির্ধারিত হয়নি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভাগ্য। ১০ জুনের পর তা নির্ধারিত হবে বলে জানানো হয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার তরফে। কিন্তু এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান কেভিন রবার্টস। তাঁর মতে, চলতি বছর বিশ্বকাপ আয়োজন করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্তই হবে। বোর্ড প্রধান কেভিন রবার্টস বলছেন,'আমরা এখনও আশা ছাড়ছি না। অক্টোবর-নভেম্বরেই টুর্নামেন্ট হবে বলে আশা করছি। তবে এই সময় বিশ্বকাপ আয়োজন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হবে। তবে সে সময় নাহলে আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চ কিংবা অক্টোবর-নভেম্বরে হতেই পারে। তবে আইসিসিকে নানাদিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।'
আরও পড়ুনঃঝুলে রইল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভাগ্য,১০ জুনের পর সিদ্ধান্ত নেবে আইসিসি
ডনের দেশে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার কথা ১৮ অক্টোবর থেকে। বিশ্বকাপ হবে কিনা তা নিয়েও এখনও কোনও ফাইনাল সিদ্ধান্ত হয়নি। কিন্তু এরইমধ্যে আসন্ন অক্টোবরেই ভারতের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের সূচি ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। যা খানিকটা হলেও পরস্পরবিরোধী। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে আগস্ট থেকেই ক্রিকেটে ফিরতে চাইছে ক্রিকেজ অস্ট্রেলিয়া। অক্টোবরেই তারা ভারতের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলবে। ১১, ১৪ ও ১৭ অক্টোবর ম্যাচ হবে যথাক্রমে ব্রিসেবেন, ক্যানবেরা এবং অ্যাডিলেডে। ফলে যেখানে ১৮ অক্টোবর থেকে বিশ্বকাপ শুরুর কথা, সেখানে ১৭ অক্টোবর ভারতের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ রাখা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাহলে কী অস্ট্রেলিয়াই চাইছে না বিশ্বকাপের আয়োজন করতে।
আরও পড়ুনঃএবার বাংলা ক্রিকেটে করোনার থাবা, আক্রান্ত বর্তমান নির্বাচক সাগরময় সেন শর্মা
আরও পড়ুনঃপরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য প্রতিদিন খাওয়ারের ব্যবস্থা করছেন সেওয়াগ
আরও একটি কারণ নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। শুক্রবারই রবার্টস বলেছন, কোভিড -১৯ এর কারণে বোর্ড এখনও একটি ৮০ মিলিয়ন ডলারের ঘাটতির মুখোমুখি হচ্ছে এবং অস্ট্রেলিয়া অক্টোবরে-নভেম্বর মাসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারবে না বলে উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আর্থিক সমস্যার দিকটিও এখন ভাবাচ্ছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বিশ্বকাপের বদলে এখন ভারত সফরের উপরই বেশি মনোনিবেশ করতে চাইছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকে অধিক মুনাফার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের। এখন দেখার বিষয় এটাই আদৌ এবছর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয় কিনা।