সৌরভ গঙ্গোপাোধ্যায় ভারতীয় দলের অধিনায়ক থাকাকালীন দেশের বিভিন্ন কোণ থেকে একের পর এক তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটারকে তুলে এনেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। যুবরাজ সিং, মহম্মদ কাইফের পাশাপাশি সেই তালিকায় নাম রয়েছে এম এস ধোনিরও। দিনের পর দিন ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল খেলেও যখন জাতীয় দলে সুযোগ পাচ্ছিলেন না ধোনি, তখন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিজে জাতীয় নির্বাচকদের সওয়াল করেছিলেন ধোনিকে দলে নেওয়ার জন্য। ধোনির বায়োপিকেও দেখানো হয়েথে সেই দৃশ্য। জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর তার পরেরটা ইতিহাস।
আরও পবড়ুনঃটি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জায়গাতেই হবে আইপিএল, জানাল অস্ট্রেলিয়ার সংবাদ মাধ্যম
২০০৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অভিষেক হয় ধোনির। যদিও সেই সিরিজে খুব নীচের দিকে ব্যাট করে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি ধোনি। ফিরে এসে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ছ’ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ব্যর্থ হন ধোনি। তারপরই ধোনিকে উপরের দিকে ব্যাটিংয়ে নামানোর সিদ্ধান্ত নেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বিশাখাপত্তনমের ওয়ানডে-তে ধোনিকে তিন নম্বরে ব্যাট করতে পাঠান সৌরভ। পাকিস্তানের বোলিংকে ধ্বংস করে ধোনি ১৪৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এই বিষয়ে বলতে গিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন,'ক্যাপ্টেনের কাজই হল সেরা দল গড়া। একজন ক্যাপ্টেন তার বিচক্ষণতা, দূরদৃষ্টি দিয়ে বুঝতে পারে কোন প্লেয়ার তার জন্য সেরাটা দেবে।'
আরও পড়ুনঃক্রিকেট,প্রিয় বান্ধবী থেকে খাদ্য, জন্মদিনে ধোনির অজানা কিছু তথ্য
আরও পড়ুুনঃ'শুভ জন্মদিন স্বামী', জন্মদিনে ধোনিকে মিষ্টি শুভেচ্ছা বার্তা সাক্ষীর
সৌরভের বিচক্ষণতার কারণেই ভারতীয় ক্রিকেট পেয়েছিল এক বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানকে। যদিও কেরিয়ারের বেশির ভাগ সময়ে ব্যাটিং অর্ডারে নীচের দিকে নেমে ম্যাচ শেষ করতেই দেখা গিয়েছে তাঁকে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন,'শুধুমাত্র ফিনিশার নয়, বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার ধোনি। ব্যাটিং অর্ডারে পরের দিকে নেমে যেভাবে ম্যাচ শেষ করে তা নিয়েই সবাই বলে থাকেন। কিন্তু ব্যাটিং অর্ডারে উপরের দিকে খুবই ভয়ঙ্কর ধোনি।' বর্তমানে ক্রিকেট থেকে দূরে থাকলেও কোটি কোটি ভক্তদের আইকন ধোনি। জন্মদিনে সকাল থেকেই ভাসছেন শুভেচ্ছার জোয়ারে। ফলে ভারতীয় তথা বিশ্ব ক্রিকেটের ধোনি প্রাপ্তির পেছনেও অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের দূরদৃষ্টিতা ও বিচক্ষণতা রয়েছে তা এক কথায় স্বিকার করেছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।