বৃহস্পতিবারই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতের ক্রীড়াসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। প্রথমে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও তারপর টেস্ট সিরিজ। সূচি অনুযায়ী ৩-৭ ডিসেম্বর ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা সিরিজের প্রথম টেস্ট। ১১-১৫ ডিসেম্বর অ্যাডিলেডে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। অ্যাডিলেড টেস্ট পিঙ্ক বল অর্থাৎ দিন-রাতের টেস্ট ম্যাচ হবে বলে ঠিক হয়েছে। ২৬-৩০ ডিসেম্বর মেলবোর্নে খেলা হবে বক্সিং-ডে টেস্ট। ৩-৭ জানুয়ারি সিডনিতে অনুষ্ঠিত হবে নিউ ইয়ার টেস্ট। কিন্তু এর পরও করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সব রকম রাস্তা খোলা রাখতে চাইছে অস্ট্রেলিয়া প্রশাসন ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। পরিস্থিতি খারাপ হলে একটি মাঠেও হতে পারে গোটা সিরিজ।
আরও পড়ুনঃ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে দুবার টস করেছিলেন ধোনি,জানালেন সঙ্গাকারা
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া প্রাথমিকভাবে বিসিসিআইকে প্রস্তাব দিয়েছিল বছর শেষের অজি সফরে কোহলিদের একটি মাঠে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলার। কিন্তু ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রস্তাবে রাদি হননি বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তারপরই বৃহস্পতিবার ক্রীড়াসূচি ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু এর পাশাপাশি অজি বোর্ডের সিইও কেভিন রবার্টস স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, করোনা মহামারির জেরে স্বাস্থ্য সংকটের কথা মাথায় রেখে ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ চারটির বদলে কোনও একটি মাঠেও খেলা হতে পারে। সবটাই নির্ভর করছে আন্তঃরাজ্য যাতায়াত ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের উপর। এত আগে থেকে নির্দিষ্ট করে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। তাই চারটি মাঠে খেলা হবে, নাকি একটি বা দু'টি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজ, তা নির্ভর করবে পরিস্থিতির উপর।
আরও পড়ুনঃটি-২০ বিশ্বকাপ কী আয়োজন করতে চাইছে না অস্ট্রেলিয়া,বোর্ড প্রধানের মন্তব্যে উঠছে প্রশ্ন
আরও পড়ুনঃপাক সেনা দিবসের অনুষ্ঠানে গিয়ে খৈনী খেয়েছিলেন আফ্রিদি,ফের ভাইরাল সেই ভিডিও
শুক্রবার ভারতীয় বোর্ডের তরফ থেকেও জানানো হয়েছিল, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ঘোষিত ক্রীড়াসূচি চুড়ান্ত নয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ না হলে প্রথমে শুধু টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে অস্ট্রেলিয়া থেকে চলে আসা, আবার পরে টেস্ট সিরিজ খেলতে যাওয়া তাতে খুব একটা সম্মতি নেই বারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের। এবার সূচি ঘোষণা করার পরও তা বদল হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনও কিছুই এখন চূড়ান্ত নয়, সব কিছুই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির উপর।