২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হোক আর ২০১১ -য় ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ। দুই বিশ্বকাপেই নিঃসন্দেহে ভারতীয় দলের অন্যতম নায়কের নাম যুবরাজ সিং। ২০১১ বিশ্বকাপে শুধু ব্যাটেই নয়, বোলিং, ফিল্ডিং সব বিভাগে দুরন্ত পারফরমেন্স করেছিলেন যুবি। বিশ্বকাপের ম্যান অব দ্যা সিরিজও হয়েছিলেন পঞ্জাব দা পুত্তর। আর ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নাম শুনলেই তো চোখের সামনে ভেসে ওঠে ইংল্যান্ডের পেস বোলিংয়ের অন্যতম অস্ত্র স্টুয়াার্ট ব্রর্ডকে পরপর ৬ বলে ৬টি ওভার বাউন্ডারি। একইসঙ্গে ১২ বলে হাফ সেঞ্চুরি। দুটি রেকর্ডই এখনই অটুট। তাছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বকআউটে ৩০ বলে ৭০ রানের ঝোড়ো ইনিংসও এখনও সবার স্মরণে টাটকা। এহেন প্লেয়ারকেই নাকি দলে নেওয়া নিয়ে চলছিল দ্বিধা। কারণ, অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনির বেশি পছন্দ ছিল সুরেশ রায়না। অন্য কেউ না এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন খোদ যুবরাজ সিং।
আরও পড়ুনঃলকডাউনে সক্রিয় বুকিরা,যোগাযোগ করা হচ্ছে ক্রিকেটারদের সঙ্গে,সতর্কবার্তা আইসিসির
যুবি বলেছেন, “সুরেশ রায়নাকে তখন ধোনি খুব পছন্দ করত, সমর্থন জানাত। প্রত্যেক ক্যাপ্টেনেরই ফেভারিট ক্রিকেটার থাকে। আর তখন মাহির ফেভারিট ক্রিকেটার ছিল রায়না। তখন ইউসুফ পাঠানের পারফরম্যান্সও ভাল ছিল। আমিও ভাল খেলছিলাম। ব্যাটে রান আসছিল, উইকেটও নিচ্ছিলাম। আর রায়না খুব একটা ভাল ছন্দে ছিল না। দলে তখন বাঁ-হাতি স্পিনার বলতে কেউ ছিল না। এ দিকে আমি উইকেটও নিচ্ছিলাম। তাই আমাকে দলে না নিয়ে উপায় ছিল না।” তাঁর প্রতিভার প্রতি ভরসা রেখেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, জানিয়েছেন যুবরাজ। তাঁর কথায়, “আমার সবচেয়ে প্রিয় ক্যাপ্টেন হল সৌরভ। সমস্ত ভারতীয় অধিনায়কদের মধ্যে ওই সবচেয়ে বেশি উৎসাহ জুগিয়েছিল আমাকে। দাদা তরুণ প্রতিভা লালন-পালন করত। ও বলেছিল যে চার-পাঁচ জন ছেলেকে দরকার যারা কিনা শক্তিসালী দল গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। আর এদের সবারই পাশে ছিল দাদা।”
আরও পড়ুনঃকরোনার থাবা ক্রিকেট বিশ্বে, দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে একাধিক ক্রিকেট বোর্ড
আরও পড়ুনঃশোয়েব আখতার-এর কেরিয়ার বাঁচিয়েছিলেন এক প্রাক্তন বিসিসিআই কর্তা, জানুন নেপথ্য-কাহিনি
ধোনরি অবসর নিয়ে প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে নানা মুনির নান মত চলছিলই। এবার যুবরাজের এই মন্তব্য জন্ম দিল নয়া বিতর্কের। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। যদিও নিজের অবসরের মতই যুবরাজের মন্তব্য নিয়েও এখনও কোনও মন্তব্য করেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।