সোমবার থেকে তাদের নির্ধারিত বেতনের ১২.৫ শতাংশ কমিয়ে দিতে সম্মত হলেন আর্সেনাল ম্যানেজার মিকায়েল আর্তাতে এবং ক্লাবের সকল খেলোয়াড়রা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের এই বিপর্যয়মূলক পরিস্থিতিতে ক্লাবের পাশে দাঁড়িয়ে এই ত্যাগস্বীকার করছেন তারা। এর মধ্যেই ইউরোপের অন্যান্য অনেক ক্লাবের খেলোয়াড়রা নিজেদের বার্ষিক বেতনের একটি নির্দিষ্ট অংশ ছেড়ে দিয়ে ক্লাবের বিপদে ক্লাবগুলির পাশে দাঁড়াচ্ছেন। জুভেন্তাস, বার্সালোনা, রোমার সাথে সাথে এবার সেই তালিকায় নাম লেখালো আর্সেনাল।
আরও পড়ুনঃলকডাউনের জেরে চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যু হল রাশিয়ার তরুণ ফুটবলারের
ছয় সপ্তাহ ধরে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সমস্ত খেলা বন্ধ রয়েছে। যা অবস্থা তাতে খুব শিগগিরই যে লিগের খেলা শুরু হবে না তা বলাই বাহুল্য। আশংকা করা হচ্ছে ব্রিটেনে জাতীয় লকডাউন এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য লকডাউন চলবে আরো বেশ কয়েকদিন। সেক্ষেত্রে জুন মাসের আগে ফুটবল প্রতিযোগিতাগুলি শুরু হওয়ার কোনও সম্ভাবনা এখনও অবধি নেই। আর প্রতিযোগিতা শুরু হলেও অনেকে আশঙ্কা করছেন তাদের খেলতে হবে ফাঁকা মাঠে।
আরও পড়ুনঃ'ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিলে ওয়াসিম ভাইকে খুন করে দিতাম',বিস্ফোরক মন্তব্য শোয়েব আখতারের
আর্সেনাল ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির নিরিখে খেলোয়াড় এবং কোচের বেতনে কাঁটছাটের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাদের। আর্সেনাল একটি পরিবারের মতো, এখানে সকলে সকলের জন্য ভাবে। তাই তারা রাজিও হয়েছেন এই ব্যাপারে সহযোগিতা করতে। এই ব্যাপারে লিখিত বোঝাপড়াও হয়ে গিয়েছে।পরবর্তী মাস থেকে ব্যাপারটি কার্যকর হবে।
আরও পড়ুনঃলকডাউনে ধোনির জন্য গান বাঁধলেন ব্র্যাভো, নাম এমএস ধোনি নম্বর ৭
নর্থ লন্ডনের ক্লাবটির লিগে আর দশ ম্যাচ খেলা বাকি ছিল। চার নম্বরে থাকা দলের থেকে তারা ৮ পয়েন্টে পিছিয়ে ছিল। চার বছর ধরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ আর্সেনাল। গতবছর ইউরোপা লিগে ভালো পারফরম্যান্স করেছিল ক্লাবটি। কিন্তু ফাইনালে ইডেন হ্যাজার্ডের অসাধারণ পারফরম্যান্সের দৌলতে তাদের হারতে হয়েছিল চেলসির কাছে।