ইগর স্টিমাচ রবিবার দুপুরে দল নিয়ে পৌছে গিয়েছেন শহর কলকাতা। ভারতীয় ফুটবলের মক্কা জাতীয় দলকে বরণ করে নিয়েছে বিমান বন্দরেই। যুবভারতীর টিকিট কাউন্টারের চিত্র বলছে মঙ্গলবার যুবভারতীরে একটা আসনও খালি থাকবে না। কিন্তু কলকাতায় আসার আগেই ভারতীয় কোচ ইগর স্টিমাচ একটা খারপ খবর পয়েছেন, চোটের জন্য তিনি দলের একনম্বর ডিফেন্ডারেকে আগামী প্রায় ছয় মাস পাচ্ছেন না। তবে সন্দেশ না থাকলেও ভারতীয় দলের একাধিক ফুটবলার আছেন যারা দলকে বিশ্বকাপের যোগ্যতা নির্নায়ক পর্বের প্রথম জয় এনে দিতে পারেন। একবার চোখে রাখা যাক তেমনই চার ফুটবলারের দিকে।
সুনীল ছেত্রীঃ ভারতীয় দলের অধিনায়ক, কাতারে বরুদ্ধে মাঠে নামতে পারেননি শরীর খারাপ থাকায়। এশিয়ার চ্যাম্পিয়নদের সেই ম্যাচে আটকে দিয়েছে ভারত। বর্তমান ভআরতীয় দলের অন্যতম সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে সেই ম্যাচকে। কাতার ম্যাচ খেলতে না পারার আফসোস বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মেটাতে চাইবেন সুনীল। কলকাতার মাঠ ও পরিবেশ তাঁর কাছে খুব চেনা। এই শহর থেকেই যে ভারতীয় ফুটবলের পোস্টার বয় হয়ে ওঠার। পাশাপাশি কলকাতা যে সুনীলের শ্বশুর বাড়ি।
আরও পড়ুন - শহরে পা রাখলো ব্লু টাইগার্স, সুনীলদের নিয়ে প্রবল উন্মাদনা বিমানবন্দরে
আনাসঃ সন্দেশ ঝিঙ্গন না থাকায় ভারতীয় দলের ডিফেন্সের দায়িত্ব আদিল খানের সঙ্গে ভাগ করে নেবেন আনাস। মোহনবাগান জার্সি গায়ে কলকাতা খেলেছেন আনাস। তাই এই শহররের পরিবেশটা তাঁর কাছে অচেনা নয়। পাশাপাশি সন্দেশ না থাকায় আনাসের কাছে সুযোগ নিজেকে প্রমাণ করে আবার প্রথম দলে জায়গা পাকা করার। এশিয়া কাপের পর জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছিলেন, কিন্তু আবার ফিরে এসেছেন কোচের অনুরোধে। এবারের আইএসএলেও এটিকে জার্সি গায়ে মাঠে নামবেন। তার আগে যুবভারতীতে নিজের ছাপ রাখতে মরিয়া আনাস।
আরও পড়ুন - যুবভারতীতে ভারত-বাংলাদেশ লড়াই, ফুটবল উন্মাদনায় ফুটছে শহর
প্রীতম কোটালঃ বাংলার এই ফুটবলার এখান জাতীয় দলের নিয়োমিত সদস্য। এবারই প্রথম জাতীয় দলের জার্সিতে ঘরের মাঠে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন প্রীতম কোটাল সহ শুভাশিস বোস, সার্থক গলুইরা। জাতীয় দলের জার্সিতে নিজের ঘরের মাঠে খেলার যে অনুভূতিটা অন্য রকম সেটা জানিয়েছেন প্রীতম। মাঠে নেমে নিজের সেরাটা দিতে চান বাংলা ছেলে। পাশাপাশি গোটা যুবভারতী যখন তাঁর নাম ধরে চিত্কার করবে, তখন যে বাড়তি অক্সিজেন পাবেন প্রীতম।
গুরপ্রীত সিং সান্ধুঃ ইউরোপে খেলা ভারতীয় দলের গোলকিপার। এশিয়ার সেরা দল কাতারের বিরুদ্ধে তিনি একাই যে ভারতীয় দলকে একটা পয়েন্ট এনে দিয়েছিলেন। এই শহরের সঙ্গে গুরপ্রীতের সম্পর্কটা একটু অম্ল মধুর। ইস্টবেঙ্গলে থাকার সময় গুরপ্রীত নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। অনেক সমালোচনা নিয়েই এই শহর ছেড়েছিলেন তিনি। এখন গুরপ্রীত বদলে গেছেন। বদলে যাওয়া গুরপ্রীত যুবভারতীতে আর গোল হজম করতে চাইবেন না।
আরও পড়ুন - ২০১৭ সালের পর ২০১৯, পুণের মাঠেই ফিরলেন সুপারম্যান, কৃতিত্ব দিচ্ছেন দলের পেসারদের