এই ভিটামিনগুলির অভাবে হাড় দুর্বল হয়ে যায়, বড় ক্ষতি হওয়ার আগেই সাবধান হয়ে যান

অনেক সময় জয়েন্টের ব্যথা ক্রমশ এতটা বেড়ে যায় যে উঠা-বসা, হাঁটা-চলাও কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে চলুন আপনাদের বলি কেন হাড় দুর্বল হয়ে যায় এবং কোন কারণে ভিটামিনের ঘাটতি হয়।
 

Web Desk - ANB | Published : Sep 6, 2022 10:03 AM IST

শরীরের মজবুত হওয়ার জন্য হাড় মজবুত থাকা খুবই জরুরী কিন্তু অনেক সময় ভিটামিনের অভাবে হাড় দুর্বল হয়ে যায় এবং তারপর জয়েন্টে ব্যথা শুরু হয়। অনেক সময় জয়েন্টের ব্যথা ক্রমশ এতটা বেড়ে যায় যে উঠা-বসা, হাঁটা-চলাও কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে চলুন আপনাদের বলি কেন হাড় দুর্বল হয়ে যায় এবং কোন কারণে ভিটামিনের ঘাটতি হয়।

শক্তিশালী হাড়ের জন্য ভিটামিন ডি খুবই গুরুত্বপূর্ণ
ভিটামিন ডি হাড়ের মজবুতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এর অভাবে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণ করতে কাজ করে, যা শক্তিশালী হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয়। আপনারও যদি ভিটামিন ডি-এর অভাব থাকে, তাহলে সকালের সূর্যের আলো নিতে পারেন। এ ছাড়া স্যামন মাছ, কমলালেবু, গরুর দুধ ও মাশরুম খাওয়া যেতে পারে।

ভিটামিন কে-এর অভাবে হাড় দুর্বল হয়ে যায়
ভিটামিন কে-এর অভাবের কারণেও হাড়ের দুর্বলতা দেখা দেয় এবং এই কারণে হাড়ের ব্যথা শুরু হয়। হাড়ের ব্যথা উপশমের জন্য ভিটামিন কে সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া যেতে পারে। আসুন আমরা আপনাকে বলি যে পনির, নরম পনির, পালং শাক, ব্রকলি, স্প্রাউটগুলিতেও ভিটামিন কে পাওয়া যায়।

ক্যালসিয়াম সুস্থ হাড়ের জন্য অপরিহার্য
হাড় সুস্থ রাখতে ক্যালসিয়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর ঘাটতি হাড়কে দুর্বল করে দেয়। তাই প্রত্যেক মানুষেরই প্রয়োজন অনুযায়ী ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা উচিত। এই জন্য, আপনি আপনার খাদ্যতালিকায় দুগ্ধজাত পণ্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এছাড়া ব্রকলি, স্যামন মাছ এবং সবুজ শাকসবজিতে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন- কয়েক মাসের মধ্যেই বাজারে আসবে জরায়ুমুখের ক্যান্সারের ভ্যাকসিন, জেনে নিন দাম ও ওষুধ

আরও পড়ুন- পেটে ক্যান্সার হলে প্রথম দিকের এই লক্ষণগুলি দেখা যায়, জেনে নিন এই রোগের কারণ

আরও পড়ুন- এই ভুলগুলো মেটাবলিজম রেট কম করে সেগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন

পেশী তৈরির জন্য প্রোটিন অপরিহার্য
প্রোটিন আমাদের শরীরের পেশীকে শক্তিশালী করে এবং একই সঙ্গে প্রোটিন হাড়ের জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চিনাবাদাম, টোফু, কুমড়ার বীজ, কুটির পনির এবং দুধে প্রচুর প্রোটিন পাওয়া যায়। তবে অতিরিক্ত প্রোটিন খাওয়াও ক্ষতিকর। একজন সুস্থ ব্যক্তির ওজন কিলোগ্রাম, তার বেশি প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত নয়। যদি আপনার ওজন ৭০ কেজি হয়, তাহলে আপনার সারা দিনে ৭০ গ্রামের বেশি প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত নয়।

Share this article
click me!