শুধু প্রবীণ ব্যক্তিরা নন, বর্তমানে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন সব বয়সের মানুষ। এদিকে গর্ভাবস্থায় (Pregnancy) ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেক মহিলা।
ডায়াবেটিস (Diabetes) ক্রমে মহামারীতে পরিণত হয়েছে। ক্রমে বাড়ছে এই রোগের প্রকোপ। শুধু প্রবীণ ব্যক্তিরা নন, বর্তমানে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন সব বয়সের মানুষ। রিপোর্ট বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৪০ মিলিয়ন লোক এই রোগে আক্রান্ত হবেন। ভারতে প্রায় ১২.৩ শতাংশ বাচ্চা ইতিমধ্যে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। বাচ্চা থেকে বয়ষ্ক, সকলের শরীরেই থাবা বসাচ্ছে ডায়াবেটিস। এদিকে গর্ভাবস্থায় (Pregnancy) ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেক মহিলা।
সম্প্রতি, একটি গবেষণায় (Research) দেখা গিয়েছে, গর্ভাবস্থায় অনেক মহিলাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। সন্তান প্রসবের পর তা আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়। গর্ভধারণের তিন মাস পর থেকে এই ডায়াবেটিসের লক্ষণ দেখা। এই সময় ডাক্তারের পরামর্শে থাকা উচিত। বাচ্চা হওয়ার পর নিয়মিত শরীরচর্চা করা উচিত, সঠিক খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। খেতে পারেন ওমেগা ৩ (Omega 3) যুক্ত খাবার। এতে সুস্থ থাকা সম্ভব।
আরও পড়ুন: Health Tips: খাবার পর অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন, সমস্যা সমাধান হবে ম্যাজিকের মতো
ক্যালিফনিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা গর্ভবতী মহিলাদের ডায়াবেটিস নিয়ে বিশেষ গবেষণা করেন। এই গবেষণায় জানা গিয়েছে, মধ্যবয়সে হৃদপিন্ডের ধমনীতে ক্যালসিয়ামের বিকাশ দ্বিগুণ হয়ে যায়। এর থেকে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। ক্যালিফনিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, যে সকল মহিলারা গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন। তাদের পরবর্তী কালে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। জার্নাল অফ দ্য আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। সেই রিপোর্টেই এমন বলা হয়েছে। গবেষণা বলছে, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে, সেই সকল মহিলাদের হৃদরোগের (Heart Disease) ঝুঁকি থেকে যায় ১২ শতাংশ।
এছাড়াও, ফ্যাটি লিভারের (Fatty Liver) সমস্যা থেকে দেখা দিতে পারে হৃদরোগ। ৩০-এর কোটায় পা দেওয়া মাত্রই অনেকে আক্রান্ত হন ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ, ব্লাড প্রেসার, থাইরয়েডের মতো রোগে। জানা গিয়েছে, ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থেকে দেখা দিতে পারে হার্টের রোগ। স্থূলতা (Fat), ডায়াবেটিসের (Diabetes) মতো রোগ থেকে দেখা দেয় ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। এর থেকে বাড়ে হৃদরোগের ঝুঁকি।
এছাড়াও অনিয়মিত ঋতুস্রাব (Periods) জন্য হতে পারে হৃদরোগ। জানা গিয়েছে, পিসিওডি, স্ট্রেস, খারাপ লাইফস্টাইল (Lifestyle) ও অধিক ওজনের জন্য পিরিয়ডসের সমস্যা দেখা দেয়। আসলে, পিসিওডি-র জন্য মহিলাদের ওঝন বৃদ্ধি ঘটে। পিসিওডি (PCOD) শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এর থেকে ধীরে ধীরে কোলেস্টেরল, হাই প্রেসারের মতো সমস্যা দেখা দেয়। এর থেকে বাড়ে হৃরোগের ঝুঁকি।