Health Tips: দীর্ঘক্ষণ কাজ করাটা রোজের অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছে, জেনে নিন নিজের কী কী বিপদ ডাকে আনছেন

অফিসের পরও কাজ করতে হচ্ছে রোজ। দিনে এত ঘন্টা কাজ করতে গিয়ে শুধু যে সকলের থেকে আলাদা থাকছেন এমন নয়, এটা আপনার শরীরের জন্যও বেশ ক্ষতিকর। জেনে নিন দীর্ঘক্ষণ (Long Time) কাজ করার ফলে কী কী ক্ষতি হতে পারে।

Sayanita Chakraborty | Published : Nov 19, 2021 5:35 AM IST / Updated: Nov 19 2021, 11:08 AM IST

প্রায় দুবছর ধরে চলছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম (Work From Home)। শিফট (Shift) ৯ ঘন্টার হলেও কাজ শেষ হতে প্রায় ১১ থেকে ১২ ঘন্টা লেগে যাচ্ছে। সারাদিন কেটে যাচ্ছে অফিসের কাজ করে। কাজের এত চাপ যে নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই। শুধু ওয়ার্ক ফ্রম হোম নয়, যারা অফিস (Office) গিয়ে কাজ করেন, তাদেরও একই হাল। এই সমস্যায় ভুক্তভোগী বহু মানুষ। ৯ ঘন্টায় কাজ শেষ হয় না অধিকাংশেরই। তাই অফিসের পরও কাজ করতে হচ্ছে। দিনে এত ঘন্টা কাজ করতে গিয়ে শুধু যে সকলের থেকে আলাদা থাকছেন এমন নয়, এটা আপনার শরীরের জন্যও বেশ ক্ষতিকর। জেনে নিন দীর্ঘক্ষণ (Long Time) কাজ করার ফলে কী কী ক্ষতি হতে পারে। 

দীর্ঘক্ষণ কাজ করার জন্য কাজের গুণগত (Productivity) মান কমে যায়। এই সমীক্ষা সকলের জন্যই প্রযোজ্য। দীর্ঘক্ষণ যদি আপনি একই কাজ করেন, তাহলে অবশ্যই গুণগত মান হ্রাস পাবে। তাই য়ত কাজই হোক, সময়ের মধ্যে শেষ করা চেষ্টা করুন। আর যতটা সময় কাজ করবেন, ততক্ষণ অন্যদিকে মন (Mind) দেবেন না। এক মনে কাজ করলে তা তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে। কাজ শেষ করে বিরতি নিন।  

দীর্ঘক্ষণ কাজ করলে তার খাবার প্রভাব সবার আগে পড়ে শরীরের (Health) ওপর। ঘাড়ে ব্যথা, মাথা ব্যথা এমনকী দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করার জন্য কোমড়ে ব্যথার সম্মুখীন হন সকলেই। এই সকল শারীরিক অসুস্থতা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে তা বড় আকার নিতে পারে। আর দীর্ঘক্ষণ কাজের জন্য সবার আগে মানসিক চাপ দেখা দেয়। মানসিক চাপ থেকে ডায়াবেটিস (Diabetes), হাই প্রেসার (High Pressure), হার্টের সমস্যা পর্যন্ত দেখা দিতে পারে। এছাড়া, ব্রেড ড্যামেজ (Brain Damage) ও ওবেসিটি (Obesity) সমস্যা প্রায়ই দেখা দিচ্ছে বহু মানুষের মধ্যে। 

আরও পড়ুন: Morning Health Tips- ঘুম চোখ খুলেই একগ্লাস লেবুর জল, জানেন এর ঠিক কতটা উপকার

সারাটা দিন কমপিউটারে (Computer) মুখ গুঁজে কাজ করছেন। অথবা ভোর বেলা অফিস বেরিয়ে যাচ্ছেন, ফিরতে হয়ে যাচ্ছে মাঝ রাত। এমন ভাবে জীবন কাটার আর্থ আপনার সোশ্যাল লাইফ (Social Life) বলে কিছু নেই।  মনে রাখবেন, কাজ নিয়ে যতই ব্যস্ততা থাকুন, পরিবার-বন্ধুদের সময় দেওয়া সকলের দরকার। পরিবার কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটালে আপনি কাজে আরও নতুন উদ্যোগ পাবেন। তাই ছুটির দিন ভুলেও কাজ করবেন না। এই দিন পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান। 

আরও পড়ুন: Health Tips- শরীরে বিলিরুবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি, জেনে নিন জন্ডিসের লক্ষণ ও কারণ

নিজে গাড়ি (Car) নিয়ে অফিস যান। এদিকে রোজই কাজের চাপে ফিরতে দেরি হচ্ছে। অফিসের জন্য বাড়ছে মানসিক চাপ (Mental Stress)। জানেন কি এর থেকে দুর্ঘটনার সম্ভবানা বেড়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ কাজ করার জন্য মানসিক চাপ বাড়ে, ক্লান্তি বাড়ে। এর জন্য রাস্তায় দুর্ঘটনার (Accident) কবলে পড়ার সম্ভবনা বাড়ে। তাই প্রয়োজনের অতিরিক্ত কাজ করবেন না। নিজে সুস্থ থাকতে চাইলে এটা মেনে চলা প্রয়োজন। 
 

Share this article
click me!