গর্ভধারণ থেকে সন্তানের জন্ম দেওয়া, পুরো সময়টা প্রতি পদক্ষেপে সতর্ক থাকতে হয় মেয়েদের। নিয়ম করে খাওয়া দাওয়া, ওষুধ, এক্সারসাইজ -সবই করতে হয় সতর্কতার সঙ্গে। এই সময় মেয়েদের বিশেষ নজর দিতে হয় খাওয়া দাওয়া প্রসঙ্গে। কোন খাবার গর্ভস্থ বাচ্চার বিকাশ ঘটাবে, কোন খাবার তার জন্য ক্ষতি কর সব জেনে চলতে হয় প্রতিটি পদক্ষেপ। আজ রইল গ্রিনটির হদিশ। গর্ভস্থ বাচ্চার ক্ষতি হয় গ্রিন টি-র জন্য- এমন ধারণা রয়েছে অনেকের মনে। আবার অনেকে মনে করেন তা নিরাপদ। জেনে নিন বিস্তারিত।
দীর্ঘ ৯ মাস ধরে মায়ের গর্ভে একটু একটু করে বড় হয়ে ওঠে সন্তান। এই সময়টা সব মেয়ের কাছে সব থেকে সুন্দর সময়। এই সময় নানান শারীরিক জটিলতা, নানান কষ্ট সহ্য করে জন্ম দেয় সন্তানের। গর্ভধারণ থেকে সন্তানের জন্ম দেওয়া, পুরো সময়টা প্রতি পদক্ষেপে সতর্ক থাকতে হয় মেয়েদের। নিয়ম করে খাওয়া দাওয়া, ওষুধ, এক্সারসাইজ -সবই করতে হয় সতর্কতার সঙ্গে। এই সময় মেয়েদের বিশেষ নজর দিতে হয় খাওয়া দাওয়া প্রসঙ্গে। কোন খাবার গর্ভস্থ বাচ্চার বিকাশ ঘটাবে, কোন খাবার তার জন্য ক্ষতি কর সব জেনে চলতে হয় প্রতিটি পদক্ষেপ। আজ রইল গ্রিনটির হদিশ। গর্ভস্থ বাচ্চার ক্ষতি হয় গ্রিন টি-র জন্য- এমন ধারণা রয়েছে অনেকের মনে। আবার অনেকে মনে করেন তা নিরাপদ। জেনে নিন বিস্তারিত।
গর্ভবতী মহিলাদের যতটা সম্ভব ক্যাফিনযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ এর কারণে শরীর জলশূন্য হয়ে পড়ে। সে কারণে চা ও কফি বেশি পরিমাণ খান না অনেকেই। তবে, গ্রিন টি একাধিক পুষ্টি গুণে পরিপূর্ণ। সে কারণে অনেকে মনে করেন, এটি যত খুশি খাওয়া চলে। এই ধারণা একেবারে ভুল। মনে রাখতে হবে গ্রিন টি ভেষজ চা নয়। এটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট পরিপূর্ণ। এটি ক্যামেলিয়া সিনেনসিস নামক উদ্ভিদের পাতা থেকে তৈরি হয়। এতে একাধিক পুষ্টি গুণ আছে ঠিকই অধিক গ্রিন টি পান মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। অনেক ক্ষেত্রে গ্রিন টি গর্ভবতী মহিলাদের জন্য বিপজ্জনক। কারণে এটি শরীরে ফলিক অ্যাসিড বা ফোলেটের স্তর হ্রাস করে। তাই গর্ভবস্থার প্রথম তিন মাস এটি এড়িয়ে চলতে বলা হয়। আর খেলেও দিনে ২ কাপের বেশি ভুলেও খাবেন না। এতে গর্ভস্থ বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। তবে, এতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হবু মায়ের জন্য খুবই প্রয়োজন। এটি রক্ত চাপ রাখে নিয়ন্ত্রণে। সঙ্গে শরীর রাখে সুস্থ।
গর্ভধারণের পর প্রতিটি মেয়ের শরীরে নানান পরিবর্তন হয়। এই পরিবর্তন সকলের ক্ষেত্রে সমান নয়। তাই এই সময় প্রত্যেকেরই উচিত চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা। গর্ভাবস্থায় গ্রিন টি খেলে যেমন কিছু উপকার হয়, তেমন হতে পারে ক্ষতিও। তাই সবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আর গ্রিন টি খেলেও ভুলেও দিনে ২ কাপের বেশি খাবেন না।
আরও পড়ুন- আগে থেকে সবজি কেটে রাখতে চান? জেনে নিন কোন সবজি কেটে কেমন ভাবে রাখতে হবে
আরও পড়ুন- সন্তানের বয়স দুই পেরিয়েছে? তার সামনে কখনই এই কাজগুলো করা উচিত নয়, জানেন?