Health Tips: ক্রমে বাড়ছে হাঁপানির সমস্যা, দীর্ঘদিন নাইট করার ফলে হতে পারে হাঁপানির রোগ

নাইট শিফটে (Night Shift) আপনি যতই স্বচ্ছন্দ্য বোধ করুন না কেন, এটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। একাধিক গবেষণায় (Research) এ কথার প্রমাণ মিলেছে। দীর্ঘদিন নাইট করার জন্য শরীরে দানা বাঁধছে একাধিক কঠিন ব্যাধি। 

Sayanita Chakraborty | Published : Nov 15, 2021 6:41 AM IST / Updated: Nov 15 2021, 12:13 PM IST

অফিসে এসেছে নতুন প্রোজেক্টে (Project)। কাজ হবে বিদেশী কোম্পানির সঙ্গে। এবার থেকে বিদেশের সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। ফলে এখন রোজ নাইট শিফট (Night Shift)। প্রথম কদিন বেশ সমস্যা হচ্ছিল। মাস ঘুরতেই সব শয়ে গিয়েছে। এখন নিশ্চিন্ত লাগছে। না, নিশ্চিন্ত হবেন না। নাইট শিফটে (Night Shift) আপনি যতই স্বচ্ছন্দ্য বোধ করুন না কেন, এটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। একাধিক গবেষণায় (Research) এ কথার প্রমাণ মিলেছে। দীর্ঘদিন নাইট করার জন্য শরীরে দানা বাঁধছে একাধিক কঠিন ব্যাধি। 

আজকাল অধিকাংশ অফিস বিশেষ করে কর্পোরেট (Corporate Office) অফিসে নাইট শিফট খুবই সাধারণ বিষয়। সপ্তাহে তিন দিন, এমনকী অনেক জায়গায় মাসের পর মাস চলে নাইট শিফট। দীর্ঘদিন ধরে নাইট করার ফলে শরীরে দানা বাঁধছে একের পর এক কঠিন রোগ। দীর্ঘদিন নাইট করার জন্য মেটাবলিক ডিসঅর্ডার (Metabolic Disorder), কার্ডিওভাসকুলার (Cardiovascular) রোগ এমনকী ক্যান্সার (Cancer) হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। ইউকে-র ম্যাঞ্চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। 

আরও পড়ুন: Parenting Tips: বাচ্চা প্রেমে পড়েছে শুনে তাকে বকা দেবেন না, বুদ্ধি করে পরিস্থিতি সামাল দিন

গবেষণায় জানা গিয়েছে, হাঁপানি ঝুঁকি বেড়ে যায় নাইফ শিফটের জন্য। এই গবেষণায় উঠে এসেছে, নাইট শিফট করেন এমন কর্মীদের মধ্যে পাঁচ শতাংশ হাঁপানির সমস্যায় ভোগেন। আর দুই শতাংশ কর্মীদের মধ্যে হাঁপানির (Asthma)  সমস্যা বেশ গুরুত্বর। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন নাইট করার ফলে ফুসফুসের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। যার জন্য হাঁপানির সমস্যা দেখা দেয়। এখন প্রশ্ন হল কী করবেন। অফিসের টাইম পরিবর্তন করা তেমন সহজ নয়। তাই সব সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন। কয়টি জিনিস মেনে চললে, হাঁপানির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। 

আরও পড়ুন: Whatsapp Last seen-হোয়াটসঅ্যাপের নয়া ফিচার,আপনিই ঠিক করুন কে দেখবে আপনার last seen ও About-র তথ্য

ব্যায়াম করুন- নিয়মিত শরীরচর্চা (Exercise) করলে যে কোনও রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো কিংবা হাঁটা হাঁপানি রোগীদের জন্য ভালো ব্যায়াম। প্রতিদিন ২-৩ কিলোমিটার হাঁটার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। তবে, বাড়িতে নয়, উন্মুক্ত হাওয়ায় হাঁটলেই সুস্থ হওয়া সম্ভব।  

চিন্তা মুক্ত- সুস্থ থাকতে চাইলে সব সময় টেনশন মুক্ত থাকতে হবে। মনে রাখবেন, মানসিক উদ্বেগ (Mental Stress), দুশ্চিন্তা থেকে হাঁপানির (Asthma) টানা বাড়ে। তাই কোনও বিষয় চিন্তা করবে না। প্রয়োজনে রোজ মেডিটেশন করুন। এতে সুস্থ থাকা সম্ভব। 

জল খান- সুস্থ থাকতে ও হাঁপানির (Asthma) সমস্যা থেকে বাঁচতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত জল খান। শরীরে জলের ঘাটতি হলে ওষুধ কাজ করে না। তাই রোজ জল পান করা খুব দরকার। 
খাবার সময়- নাইট শিফট (Night Shift) করার জন্য রাত ৩টে বাজিয়ে দেন ডিনার করতে। সুস্থ থাকতে চাইলে এই অভ্যেস আজই বদলান। রাতে নির্দিষ্ট সময় খান। আর ভর পেট খাবেন না। ভরপেট খেলে হাঁপানির টান বাড়ে। আর এই ধরনের রোগীরা ঝাল-মশলা যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। এড়িয়ে চলুন কোল্ড ড্রিংক্স (Cold Drinks), ফ্রিজের জল। 
 

Share this article
click me!