চন্দ্রপৃষ্ঠে বাধা,তাই বিক্রমের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা যাচ্ছে না,জানালেন চন্দ্রযান-১-এর ডিরেক্টর

  • চন্দ্রপৃষ্ঠে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে বিক্রম
  • তাই হয়ত বিক্রমের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা যাচ্ছে না
  • এমনটাই জানালেন চন্দ্রযান-১-এর ডিরেক্টর
  • সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাতকারে একথা জানান তিনি

Indrani Mukherjee | Published : Sep 9, 2019 3:28 AM IST / Updated: Sep 09 2019, 09:04 AM IST

শনিবার রাতে সারা দেশবাসীকে আশাহত করে হারিয়ে গিয়েছিল ল্যান্ডার বিক্রম। কিন্তু ইসরোর বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টায় উধাও বিক্রমের সন্ধান মেলে অবশেষে। বিক্রমের সন্ধান পাওয়া যায় চন্দ্রযান-২-এর অরবিটারের সাহায্যে। ল্যান্ডার বিক্রমের একটি থার্মাল ইমেজ পাওয়া গিয়েছে অরবিটারের সাহায্যে। 

বিক্রমের হদিশ পাওয়া গেলেও, তার সঙ্গে এখনও পর্যন্ত যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেনি ইসরো। আর বিক্রমের সঙ্গে ফের যোগোযোগ স্থাপন আদৌ সম্ভব কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েইছে বিজ্ঞানীদের মনে। 

এদিন একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাতকারে চন্দ্রযান-১-এর ডিরেক্টর মাইলস্বামী আন্নাদুরাই জানিয়েছেন, চন্দ্রপৃষ্ঠে ল্যান্ডার বিক্রমের খোঁজ পাওয়ার পর এবার তার সঙ্গে যোগাযোগ তৈরির চেষ্টা করতে হবে। তাঁর দাবি, চাঁদের যে অংশে ল্যান্ডার নামার চেষ্টা করেছিল সেই স্থান পালক পতন বা সফট ল্যান্ডিং-এর জন্য সুবিধাজনক নয়। তিনি আরও বলেন যে, এমনটাও হতে পারে যে সেখানে এমন কিছু বাধা রয়েছে, যার ফলে ল্যান্ডারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। প্রসঙ্গত, প্রথম থেকে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও শনিবার চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের আগে ২.১ কিলোমিটার দূরত্ব থেকে ল্যান্ডার বিক্রমেরর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ল্যান্ডার বিক্রমের। 

চন্দ্র অভিযানে 'কলঙ্ক', এনআরসি তালিকায় নাম নেই চন্দ্রযান-২-এর বিজ্ঞানীর

খোঁজ মিলল ল্যান্ডার বিক্রমের, এবার শুধু যোগাযোগের অপেক্ষা

শুধু চন্দ্রযান-২ নয়, গত ছয় দশকে ৬০ শতাংশ চন্দ্রাভিযান সাফল্য পেয়েছে, জানাল নাসা

চন্দ্রযান-১-এর ডিরেক্টর মাইলস্বামী আন্নাদুরাই আরও জানিয়েছেন, চাঁদের কক্ষপথে পাক কেয়ে চলা চন্দ্রযান-২ এর অরবিটারেও একটি যোগাযোগ রক্ষাকারী চ্যানেল রয়েছে, যার সাহায্যে ল্যান্ডারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন সম্ভব। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সেই যোগাযোগ স্থাপন কতখানি সম্ভব সেটাও একটা ভাবনার বিষয়। অরবিটার এবং ল্যান্ডারের মধ্যে সর্বদা একটা টু-ওয়ে কমিউনিকেশন সিস্টেম থাকে, তবে এক্ষেত্রে কেবল একপক্ষের বার্তার ওপরেই নির্ভর করতে হচ্ছে ইসরোকে। 

Share this article
click me!