আন্দোলনকারী কৃষকদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি খোলা চিঠি লিখবে। সেখানে অমীমাংসিত দাবিগুলির উল্লেখ থাকবে।
তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের (Farm Law Repealed) সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও এখনই আন্দোলনে (Farmer Protest) ইতিটানা হচ্ছে না। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি থেকেও কৃষকরা এখনও সরে আসছে না। রবিবার সিংহু বর্ডারে আন্দোলনকারী কৃষক নেতা বলবীর সিং রাজেওয়াল এমনটাই জানিয়েছেন। তবে কৃষকদের পক্ষ থেকে তিনি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) যে তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন এটি খুবই ভালো পদক্ষেপ। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে তাঁরা স্বাগত জানিয়েছেন বলেও ঘোষণা করেছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। এদিনই আন্দোলনকারী কৃষক নেতা জানিয়েছেন এখনও তাঁদের দাবিদাওয়ার বেশ কয়েকটি বিষয় রয়েছে, যেগুলি অমিমাংসীত থেকে গেছে।
আন্দোলনকারী কৃষকদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি খোলা চিঠি লিখবে। সেখানে অমীমাংসিত দাবিগুলির উল্লেখ থাকবে। সেই দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম হল নূন্যতম সহায়ক মূল্য। নূন্যতম সহায়ক মূল্য বা মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইসের (MSP) সয়মসীমা ও দায়িত্ব, ২০২০২ সালে বিদ্যুৎ বিল। পাশাপাশি দিল্লি সীমানায় আন্দোলন চলাকালীন কৃষকদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা করা হয়েছিল গুলি প্রত্যাহারের বিষয়ও উল্লেখ কাতবে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে। এদিন কৃষকনেতাদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, লাখিমপুর খেরির ঘটনা নিয়েই তাঁদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ইস্তফার দাবিও জানাবেন তাঁরা।
কৃষক নেতা বলবীর সিং রাজেওয়াল জানিয়েছেন, তিনটি কৃষি আইন বাতিলের বিষয় নিয়ে সংযুক্ত কিষান মোর্চার সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে। সেখানেই স্থিল হয়েছে এখনও কৃষক আন্দোলনে ইতিপড়ে না। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিগুলি যেমন রয়েছে তেমনই চলবে। ২২ নভেম্বর লক্ষ্নৌতে কৃষক মহাপঞ্চায়েত অনুষ্ঠিত হবে। ২৬ নভেম্বর দিল্লি সীমানায় জমায়েত ও ২৯ নভেম্বর কৃষকদের সংসদ অভিযানের কর্মসূচি যে এখনও প্রত্যাহার করা হয়নি তাও এদিন স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে সংযুক্ত কৃষক মোর্চা। আগামী ২৯ নভেম্বর সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগে অর্থাৎ ২৭ নভেম্বর সংযুক্ত কিষান মোর্চার নেতারা আবারও বৈঠক করবেন। সেখানেই পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন কৃষক নেতা। তবে তার আগে পর্যন্ত গোটা পরিস্থিতির দিকে যে তাঁরা নজর রাখবেন তাও জানিয়ে দিয়েছেন রাজেওয়াল।
Varun Gandhi: ৭০০ কৃষকের মৃত্যু থেকে লাখিমপুর খেরির ঘটনা, প্রধানমন্ত্রীকে 'খোলা চিঠি' বিজেপি নেতার
PM Modi: পুলিশ শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক, থাকবেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ আর অজিত ডোভাল
Defence Product: ৯০ শতাংশ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি হবে দেশে, আশ্বাস দিলেন রাজনাথ সিং
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি আন্দোলনকারী কৃষকদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। তবে কৃষকরা প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেও এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। এখনই তাঁরা যে দিল্লি সীমানা থেকে সরছেন না তা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। তাঁদের দাবি সংসদে যেভাবে কৃষি আইন পাশ করান হয়েছিল সেই পদ্ধতিতেই সংসদের দুই কক্ষে কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে। পাশাপাশি নূন্যতম সহায়ক মূল্যসহ একাধিক দাবিতে তাঁরা এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়েদিলেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ প্রায় ১ বছর ধরে চলা কৃষক আন্দোলনে এখনও পর্যন্ত ৭০০ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতারা দাবি করেছেন।