হিমাচলের অন্য প্রান্তে বাড়ছে চিনা আগ্রাসন
পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৈরি স্থানীয় প্রশাসন
গ্রামবাসীদের নিয়ে অপারেশন শুরু
কাজ করছে স্থানীয় পুলিশ কর্মীরা
পূর্ব লাদাখের গালওয়ান সীমান্তে ভারত ও চিনা সেনাদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর থেকেই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য একটু একটু করে তৈরি হচ্ছে সীমান্তবর্তী পাহাড়ি রাজ্য হিমাচল। ভারতের এই রাজ্যটি চিনের সঙ্গে ২৪০ কিলোমিটার লম্বা সীমান্ত ভাগ করে নেয়। হিমাচল প্রদেশ যে পরিকল্পনাটি গ্রহণ করেছে তার মূল উদ্দেশ্যই হল প্রাথমিক পর্বে চিনের আগ্রাসন রুখে দেওয়া।
একটি সূত্র জানাচ্ছে ইতিমধ্যেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নির্দেশে স্থানীয় প্রশাসন পরিকল্পনামাফিক কাজ করতে শুরু করেছে। যার প্রথম পদক্ষেপ অনুযায়ী রাজ্যের দুটি সীমান্তবর্তী জেলা কিন্নোরের ৩৬ জন ও লাহাউল স্পিতি গ্রামের ১২ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যাঁরা স্থানীয় জনগণের সঙ্গে প্রশাসনের যোগাযোগ আরও মজবুত করবে।
ড্রাগনের নজর এবার হিমাচল প্রদেশের দিকে, তিব্বত সীমান্তের শেষ গ্রামের কাছে কী করছে লাল ফৌজ...
দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপটি হল ইন্দো টিবেটিয়ান পুলিশ ও রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দাদের চিনা ও তিব্বতি ভাষায় প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। স্থানীয় আদিবাসি ও জনগোষ্ঠীর সদস্যদের গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
পাশাপাশি জোর দেওয়া হবে স্থানীয় সড়ক নির্মাণ ও উন্নতির দিকে। একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরির দিকেও জোর দিয়েছে প্রশাসন। হেলিকপ্টার ও বিমান অবতরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ইতিমধ্যেই পাঁচ আইপিএস অফিসার সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলি সফর করেছেন। প্রায় দশ দিন সীমান্ত এলাকায় শিবির করে তাঁরা ছিলেন। স্থানীয়দের কাছ থেকে সীমান্তবর্তী এলাকা নিয়ে প্রাথমিক তথ্য নথিবদ্ধ করেছেন বলেও জানিয়েছেন ডিজিপি সঞ্জয় কুণ্ডু। গোটা পরিকল্পনাটি তৈরি করেছেন তিনি।
'বিজেপি জমায়েত ও উদযাপন করতে পারে', উপত্যকার বাকিরা এখনও বঞ্চিত বলে অভিযোগ ওমর আব্দুল্লাহর...
মাস্ক পরেই রামলালার পুজো প্রধানমন্ত্রীর, রামমন্দির অনুষ্ঠানেও করোনা নিয়ে উদ্বেগ...
গোয়েন্দা সূত্রে খবর সীমান্তে ওপারে রীতিমত তৎপরতা বাড়িয়েছে চিনা সেনা। সীমান্তের ওপার নিজের এলাকায় একের পর এক রাস্তা নির্মাণ করেছে। পাশাপাশি ফাইবার অপটিক বসিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থারও উন্নতি করেছে। হিমাচল প্রদেশের সীমান্তবর্তী গ্রামের বাসিন্দারা চিনা সেনার তৎপরতার বেশকয়েকি ভিডিও পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাই লাদাখের ঘটনা যাতে আর দ্বিতীয়বার না ঘটে তার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছে হিমাচল প্রদেশ। চিনা অগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও দাবি করেছে হিমাচল প্রদেশের প্রশাসন।
অযোধ্যায় রামমন্দির আন্দোলনে ১০ প্রভাবশালী নেতা, যাঁদের ছাড়া সম্ভব হত না রাম জন্মভূমি আন্দোলন