ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রথম প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। ৪৮ জনের নাম রয়েছে প্রার্থী তালিকায়। নাম নেই বিপ্লব দেবের।
ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের ঢাঁকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। শনিবার এই রাজ্যে নির্বাচনের জন্য প্রথম প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বিজেপিষ প্রথম তালিকায় ৪৮ জন প্রার্থীর নাম রয়েছে। তবে তাতে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার নাম থাকলেও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের নাম নেই। প্রথম প্রার্থী তালিকায় সবথেকে বড় চমক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। গেরুয়া শিবির তাঁকে ধানপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছে।
রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা প্রার্থী প্রার্থী হিসেবে টিকিট পেয়েছেন টাউন বার্দোয়ালি কেন্দ্রের। তবে এই তালিকায় বিপ্লপ দেবের নাম নেই। দলীয় সূত্রের খবর এই নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করা হবে না। দলের সংগঠনের কাজেই তাঁকে ব্যাবহার করা হবে। বিজেপি নেতা অনিল বালুনি ও সম্বিত পাত্র শনিবার ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের জন্য দিল্লি থেকে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন। এদিন দলের সদর দফতরে সাংবাদিকদের একাধিক প্রশ্নেরও উত্তর দেন তাঁরা।
প্রার্থী তালিকায়ে চমক থাকলেও তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। রাজ্যের একমাত্র কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক ছাড়া কি আর কোনও মহিলা প্রার্থী নেই? যদিও এই প্রশ্নের কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে এবার ত্রিপুরা বিধানসভায় ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া চেষ্টা করবে বিজেপি। ২০১৮ সালের দীর্ঘ ২৫ বছরের বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে ত্রিপুরায় ক্ষমতা দখল করেছিল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বিপ্লব দেব। চলতি বছর প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা তথা রাজবংশী নেতা প্রদ্যোত দেব বর্মনের সঙ্গে বিজেপি জোট নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিল। কিন্তু তা এখনও পর্যন্ত কার্যকর হয়নি।
অন্যদিকে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচবনে বিজেপির বিরুদ্ধে বাম - কংগ্রেস ঐক্যবদ্ধভাবে ভোট যুদ্ধ সামিল হচ্ছে। বামফ্রন্ট্রে তরফ থেকে ইতিমধ্যে ৪৩ জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। কংগ্রেস ১৭ জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে। যদিও বামেরা কংগ্রেসের জন্য ১৩টি আসন ছেড়ের রেখেছিল। যার অর্থ তিনটি আসনে বামেদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ভোট যুদ্ধে থাকবে বিজেপি ও কংগ্রেস।
অন্যদিকে ত্রিপুরায় ভোট যুদ্ধে সামিল তৃণমূল কংগ্রেসও। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরা যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দলীয় সভা ও একটি রোডশো করবেন। এর আগেও বেশ কয়েকটি নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। যদিও সংসদীয় রাজনীতিতে এখনও পর্যন্ত সেই রাজ্যে তেমন কোনও ছাপ ফেলতে পারেনি। তবে উত্তর - পূর্বের রাজ্যগুলিতে দলের শক্তি বাড়াতে বদ্ধ পরিকর ঘাসফুল শিবিরের প্রথম সারির নেতারা।
আরও পড়ুনঃ
লাদাখের গণতন্ত্র -বাস্তুতন্ত্র নিয়ে কথা বলায় গৃহবন্দি করা হয়েছে, ভিডিও করে অভিযোগ সোনম ওয়াংচুকের
IAF plane crash : সুখোই-মিরাজের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ঘটনাস্থলে মৃত্যু পাইলটের
হাতে-খড়ির পরে এবার দিল্লিতে চমক রাজ্যপালের, পরীক্ষা পে চর্চা দেখতে বাংলা স্কুলে সিভি আনন্দ বোস