শুরুতেই হোঁচট, রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের আগেই আইনি প্যাঁচে নাগরিকত্ব বিল

Published : Dec 12, 2019, 05:26 PM ISTUpdated : Dec 12, 2019, 06:20 PM IST
শুরুতেই হোঁচট, রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের আগেই আইনি প্যাঁচে নাগরিকত্ব বিল

সংক্ষিপ্ত

সংসদ সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল ২০১৯-কে তবে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পাওয়া এখনও বাকি তার আগেই আইনের প্যাঁচে পড়ল এই বিল সুপ্রিম কোর্টে মামলা করল আইইউএমএল

আগেই আইইউএমএল-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল বিলটি সংসদে যদি পাস হয় তাহলে তারা এই বিলকে শীর্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ জানাবে। কারণ বিলে প্রস্তাবিত আইনটি সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারা-কে লঙ্ঘন করে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্বের ধারণা আনছে। আইইউএমএল-এর লিখিত আবেদনপত্রে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করতে চাওয়ার বিষয়টিকে বৈষম্যমূলক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন - অগ্নিগর্ভ উত্তর-পূর্বে আসছেন অমিত শাহ, 'ষষ্ঠ ধারা' প্রয়োগের আশ্বাস পেল অসম

আরও পড়ুন - একনজরে জেনে নিন 'নাগরিকত্ব বিল'-এর কি, কেন, কোথায়, কবে

এই বিল নিয়ে গত সোমবার লোকসভায় ১২ ঘন্টা ও রাজ্যসভায় আট ঘণ্টার বিতর্কে চলেছে। দুই রক্ষেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছেন, বিলটি শুধুমাত্র তিন দেশের নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব প্রদান করার চেষ্টা করছে। কারও নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে না। বিলটি ০.০০১ শতাংশও মুসলিম বিরোধী নয় বলে বিরোধীদের অভিযোগকে তিনি অস্বীকার করেছেন। বারবার আশ্বাস দিয়ে বলেছেন ভারতীয় মুসলমানদের এই বিল-কে ভয়ের কিছু নেই। তাঁরা এখন যেমন ভারতের নাগরিক আছেন, আগামী দিনেও ভারতীয় নাগরিকই থাকবেন।

আরও পড়ুন - বিল পাসের আগেই নাগরিকত্ব, জানেন ৩ বছরে কতজন আফগান ও পাকিস্তানি 'ভারতীয়' হয়েছেন

আরও পড়ুন - 'অমুসলিম শরণার্থী'র সংখ্যাটা ঠিক কত, রাজ্যসভায় কী হিসেব দিলেন অমিত শাহ

এই বিল নিয়ে কিন্তু, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বুধবার অসম-সহ উত্তর-পূর্বের বেশ কয়েকটি রাজ্যগুলিতে বিলের বিরোধিতা করে আন্দোলন তীব্র হয়েছে। গুয়াহাটি, ডিব্রুগড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করতে হয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ত্রিপুরা ও অসমে।

 

সংসদে বিলটি পাস হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিল পাস হওয়ার দিনটিকে ভারতের 'যুগান্তকারী দিন' বলে বর্ণনা করেছেন। বিলটি ভারতের এর মমত্ববোধ ও ভ্রাতৃত্ববোধের নীতিকে ধরে রেখে 'দীর্ঘদিন ধরে নিপীড়নের শিকার হওয়া বহু মানুষের দুর্দশা দূর করবে' বলে দাবি করেন তিনি। অপরদিকে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর মতে, ভারতের সাংবিধানের ইতিহাসে এই দিনটি চিহ্নিত হবে 'অন্ধকারময় দিন' হিসাবে। বিল পাস হওয়াটা দেশের বহুত্ববাদের বিরুদ্ধে 'সংকীর্ণ ও ধর্মান্ধ শক্তির জয়' বলেন তিনি।

আরও দেখুন - দিনভর সংঘর্ষ, হামলা রেলস্টেশন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে, অগ্নিগর্ভ অসম

আরও পড়ুন - প্রতিবাদে ছাড়লেন চাকরি, নাগরিকত্ব বিলে 'ভয় দেখানো'র অভিযোগ বিশিষ্ট আইপিএস-এর

PREV
click me!

Recommended Stories

তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে খেললেন মেসিরা, কলকাতাকে টেক্কা দিল হায়দরাবাদ
১৫ ডিসেম্বর শেষ দিন! এই কাজ না করলে গুনতে হবে জরিমানা, বিজ্ঞপ্তি জারি আয়কর বিভাগের