কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে বলা হয়েছে ভারত এমন দেশগুলির সঙ্গে এখনও যোগাযোগ রেখেছে যেখানে করোনাভাইরাসের নতুন এই রূপের কারণে সংক্রমণ বাড়ছে।
করোনাভাইরাসের (Coronavirus) নতুন রূপ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। শনিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi) কোভিড ১৯এর (Covid 19) নতুন রূপ ওমিক্রন (Omicron) নিয়ে বৈঠক করেছিলেন। তারপরই স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Union Health Ministry) রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে সতর্ক করে দিয়েছে। জারি করা হয়েছে একটি গাইডলাইনও। যেখানে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে নিবিড় নিয়ন্ত্রণ, সক্রিয় নজরদারির পাশাপাশি করোনাভাইরাসের টিকাকর্মসূচি আরও বড়াতে পরামর্শ দিয়েছে রাজ্যগুলিকে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে বলা হয়েছে ভারত এমন দেশগুলির সঙ্গে এখনও যোগাযোগ রেখেছে যেখানে করোনাভাইরাসের নতুন এই রূপের কারণে সংক্রমণ বাড়ছে। তাই ভারতে আশা ভ্রমণকারীদের নজরদারি বাড়াতে হবে। অতিরিক্ত ফলো-আপ ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি টেস্টিং ও ট্র্যাকিং-এর জোরদার ব্যবস্থা করতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক কোভিড আচরণবিধি মেনে চলার ওপরেও জোর দিয়েছে।
Omicron: ব্রিটেনে ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়াচ্ছে , ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞায় 'বিরক্ত' দক্ষিণ আফ্রিকা
Oil price: করোনার নতুন রূপ ওমিক্রনের দাপট, প্রভাব ফেলল জ্বালানি তেলের দামের ওপরেও
Killer Mother: ধর্ষণের অপমান, সহ্য করতে না পেরে নাবালিকা মা খুন করল ৪০ দিনের সন্তানকে
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, নিবিড় ট্র্যাকিং আর নজরদারি ও দ্রুত টিকাকরণের পাশাপাশি করোনাভাইরাস সংক্রান্ত উপযুক্ত আচরণ মেনে চলতে হবে। প্রতিটি পদক্ষেপ যদি সতর্কতার সঙ্গে গ্রহণ করা হয় তাহলে সংক্রমণ থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাওয়া যেতে পারে। তাই এই বিষয়গুলির ওপর নজর দেওয়া জরুরি বলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে দারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন করোনার নতুন রূপের মাধ্যমে দ্রুততার সঙ্গে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিমানে আসা যাত্রীদের অতীত ভ্রমণের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য রিপোর্টি ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। প্রতিটি স্তরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নতুমা দ্রুততার সঙ্গে জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর জন্য পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে বলা হয়েছে এই পরবর্তিত ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলা করার জন্য যথেষ্ট পরীক্ষা পরিকাঠামো চালু করা প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমানে বেশ কয়েকটি রাজ্যে সামগ্রিক পরীক্ষার পাশাপাশি আরটি পিসিআর টেস্ট অনেকটাই কম। পর্যাপ্ত পরীক্ষার অভাবে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ওমিক্রনের সংক্রমণ রুখতে রাজ্যগুলিকে কড়া হতে হবে বলেও জানান হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে। পাশাপাশি দেশের নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে বলেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে হটস্পট বা যে এলাকাগুলিকে সাম্প্রতিক করোনা পজিটিভের সংখ্যা বেশি বা ক্লাস্টর তৈরি হয়েছে- সেই জায়গাগুলির ওপর বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। হটস্পটগুলিতে স্যাচুরেশন পরীভক্ষার প্রয়োজন ও সমস্ত ইতিবাচক নমুনা। সেগুলিকে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য ল্যাবে পাঠানো জরুরি বলেও জানান হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।