প্রধানবিচারপতি বলেন বর্তমানে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার। সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয়েছে শারীরিক শুনানি। যা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন, কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিকাশ সিং।
ওমিক্রনের (Omicron) আক্রান্ত হওয়া সম্পর্কে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা (CJI NV Ramana)। তিনি বলেন, 'আমি ওমিক্রনের পরবর্তী প্রভাবে ভুগছি।' তিনি আরও জানান ওমিক্রনের প্রভাব অনেকটাই কম। তার ক্ষেত্রে এটি তিন থেকে চার দিন ছিল। কিন্তু তার প্রভাব তিনি এখনও অনুভব করছেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। প্রধান বিচারপতির কথায় ওমিক্রন একটি নীবর ঘাতক। তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের প্রথম তরঙ্গের সময়ই তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু এই তরঙ্গে আক্রান্ত হওয়ার পর ২৫ দিন কেটে গেছে। কিন্তু তিনি যে এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেননি তাও অকপটে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
এদিন প্রধানবিচারপতি বলেন বর্তমানে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার। সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয়েছে শারীরিক শুনানি। যা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন, কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিকাশ সিং। তিনি দেশের প্রধান বিচারপতির কাছে এই আবেদন জানিয়েছিলেন। শুনানি শুরু হওয়ার পর তিনি বলেন, তিনি খুশি হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে অনলাইন শুনানির পরিবর্তে অফলাইন শুনানি সুরু হয়েছে। তিনি আরও বলেন ওমিক্রন একটি ভাইরাল দ্বরের মত। এটি আক্রান্তরা খুব তাড়াতাড়ি সেরে ওছে। আগেরগুলির তুলনায় এটি অনেকটাই মৃদু বলেও মন্তব্য করেছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট বিকাশ সিং। তারই উত্তর দিতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন ওমিক্রন নীবর ঘাতক।
তবে প্রধান বিচারপতির মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়ে আইনজীবী জানিয়েছেন, প্রধান বিচারপতির ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তবে ওমিক্রন আক্রান্তরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছে ১৫ হাজার ১০২ জন। দৈনিক ইতিবাচক হার ১.২৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের কারণে প্রাণ হারিয়েছ ২৭ জন। দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫. ১২. ৬২২।
গত নভেম্বর থেকেই করোনাভাইরাসের নতুন জিন হিসেবে সামনে এসেছে ওমিক্রনের নাম। এটি আগেরগুলির তুলনায় অনেক দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলেও দাবি করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সত্যি এটি দ্রুত গোটা বিশ্বেই প্রভাব ছড়িয়ে দেয়। ওমিক্রনের প্রভাবেই গোটা বিশ্বে তৃতীয় তরঙ্গ আছড়ে পড়েছিল। যার প্রভাব পড়েছিল ভারতেও। তবে বিশেষজ্ঞদের কথায় এটি দ্রুত সংক্রমণ ছড়ালেও মৃত্যুর হার তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। আক্রান্তদের অধিকাংশেরি হাসপাতালে যেতে হয়নি বলেও দাবি করেছেন চিকিৎসকরা।
দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে বেআইনি লেনদেন, ৮ ঘণ্টা জেরার পর ইডির জালে নবাব মালিক
'রাজপরিবার চায় দরিদ্ররা পিছিয়ে থাকুক', ভোট প্রচারে বিরোধীদের কটাক্ষ মোদীর