আন্দোলনকারী কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছিলেন মার্কিন পপস্টার রিহানা। তারপর একে একে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন গ্রেটা থুনবার্গ, মীনা হ্যারিস সহ একাদিন আন্তর্জাতিক সেলিব্রিটি। তারপরই দেশের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে আসরে নামে বিদেশ মন্ত্রক। ভারতের বিরুদ্ধে অপপ্রচারা না জানাতে ও সংবেদনশীল বিষয়ে হঠাৎ মন্তব্য না করার আহ্বান জানিয়েছে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলে। একই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় একতা ও ভারতবিরোধী প্রচার না চালানোর আর্জিও জানান হয়েছিল। বিদেশ মন্ত্রকের সেই বার্তাই ভারতের একাধিক সেলিব্রিটি শেয়ার করে একবার বার্তা দিয়েছিলেন। সোমবার মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে দেশের সেলিব্রিটিদের টুইটগুলি নিয়ে তদন্ত করে দেখবে প্রশাসন। তাঁরা কোনও চাপের কাছে নতি স্বীকার করে এই টুইট করে করেছেন কিনা তা জানতেই এই তদন্ত করা হবে।
মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অনিল দেশমুখ জানিয়েছেন, কোনও চাপের মুখে পড়ে কৃষি আইনের প্রতিবাদ থেকে উদ্ভূত ইস্যুতে অবসরপ্রাপ্ত ক্রিকেটার শচিন তেন্ডুলকার, অভিনেতা অক্ষয় কুমার, শাটলার সায়না নেহওয়ালের মত বিখ্যাত ব্যক্তিরা টুইটারে বার্তা দিয়েছিলেন কিনা তা জানতেই রাজ্যের সরকারি সংস্থা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করবে। অনিল দেশমুখ ও কংগ্রেস নেতা শচীন সাওয়ান্ত অভিযোগ করেছেন, আন্তর্জাতিক পপস্টার রিহানার টুইটের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির চাপের মুখে পড়েই ভারতীয় সেলিব্রিটিরা সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছেন। ভারতীয় সেলিব্রিটিরা কিভাবে এই পোস্টগুলি করেছেন তা খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রাজ্যসভায় কৃষি আইন নিয়ে মনমোহনকে ঢাল , আলোচনার জন্য তৈরি বলেও কৃষকদের বার্তা মোদীর ...
হিমালয়ের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলেই কি উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয়, কতটা গলেছে হিমবাহ ...
কংগ্রেস নেতা শচীন সাওয়ান্ত বলেছেন সেলিব্রিটিদের টুইটগুলির মধ্যে সর্বত্র একই ধরন দেখতে পাওয়া গেছে। সর্বাধিক ব্যবহৃত শব্দ মাইকেবল। সাওয়ান্ত আরও বলেছেন অক্ষয় কুমার ও সাইনা নেহওয়ালের টুইটটিতে হুবহু একই শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। অন্যদিকে অভিনেতা সুনীত শেঠির একজন বিজেপি নেতাকে ট্যাহ কররেছেন। তিনি আরও বলেছেন, যদিও প্রত্যেকের নিজস্ব মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু মহারাষ্ট্র সরকার জানতে চাইছে সেলিব্রিটিদের ওপর প্রভাব খাটিয়ে টুইটগুলি করা হয়েছে কিনা।
গত সপ্তাহেই ভারের কৃষক আন্দোলন নিয়ে সিএনএন-এর একটি প্রতিবেদন শেয়ার করেছিলেন পপস্টার রিহানা। আর সেখানে তিনি মাত্র ৬টি শব্দ লিখেছিলেন। তিনি বলেছিলেন ভারতে চলা কৃষক আন্দোলন নিয়ে কেন কথা বলছেন না তাঁরা। তারপরই একের পর এক সেলিব্রিটি ও মার্কিন ও ব্রিটিশ জনপ্রতিনিধিরা দিল্লির উপকণ্ঠে চলা কৃষক আন্দোলন নিয়ে মত প্রকাশ করতে থাকেন। যা কেন্দ্রীয় সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেয় বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা। তারপরই ভারতের পক্ষ থেকে পুশব্যাক শুরু হয়ে যায়। যার নেতৃত্ব ছিলেন অভিনেতা অক্ষয় কুমার, সুনীল শেঠি, অজয় দেবগন, করণ জোহররা। তারপর থেকেই কংগ্রেস নেতাদের প্রশ্ন ছিল বিদেশের সেলিব্রিটিদের অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন নিজের মতামত প্রকাশ করবে।