বিশ্বে করোনা সংক্রমমের সংখ্যা ২১ লক্ষের গণ্ডি ছা়ড়িয়েছে। সংক্রমণ আটকাতে একধিক দেশ হেঁটেছে লকডাউনের পথে। ভারতও রয়েছে সেই দলে। এর মাঝেই করোনা আক্রান্তদের জন্য বিশ্বের নানা দেশে ম্যালেরিয়ার ওষুধ পাঠাচ্ছে ভারত। বিশ্বে মানবিকতার এক নতুন উদাহরণ তুলে ধরেছে আমাদের দেশ। কিন্তু পরিস্থিতি একফোঁটাও পাল্টায়নি পাকিস্তানে। করোনা আক্রান্ত দেশটি এখনও বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ রফতানি করে চলেছে। পাক সীমান্তে দাঁড়িয়ে এভাবেই ইমরান খানের সরকারকে খোঁচা দিলেন ভারতের সেনা প্রধান জেনারেল এমএম নারাভানে।
জম্মু-কাশ্মীর সফরে গিয়েছেন দেশের সেনা প্রধান। লকডাউন পরিস্থিতিতে পাক সীমান্তের নিরাপত্তায় যাতে কোনওভাবে ফাঁকফোকর না থাকে তা নিজেই যাচাই করে দেখছেন জেনারেল নারাভানে। এই মাঝেই লাইন অব কন্ট্রোলে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, "আমাদের দেশ নিজেদের নাগরিকদের সাহায্য করার পাশাপাশি বিশ্বকে করোনা মুক্ত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, নানা দেশে ওষুধ পাঠাচ্ছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান কেবল সন্ত্রাসবাদ রফতানি করে চলেছে।"
সেনা প্রধান আরও বলেন, " এটা খুবই দুঃখের, যখন গোটা বিশ্ব ও ভারত মহামারীর বিরুদ্ধে লড়ছে, তখনও প্রতিবেশী দেশটি আমাদের দেশে ঝামেলা তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছ।"
লকডাউনের মাঝেই এলাহি আয়োজন, ছেলের বিয়ে দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ৫০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ, ফের রিভার্স রেপো রেট কমাল আরবিআই
করোনা আক্রান্ত বিশ্বে ভারত যেন 'দেবদূত', হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন পেল বিপন্ন ৫৫টি দেশ
ভারতের মত পাকিস্তানেও বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। শোনা যাচ্ছে দেশে ওষুধের অভাব পূরণ করতে ইতিমধ্যে ভারতের কাছেও সাহায্যের হাত পেতেছে দেশটি। কিন্তু এসবের পরেও সীমান্তে একাধিকবার যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন করার অভিযোগ উঠেছে পাক সেনার বিরুদ্ধে। করোনা ও লকডাউন নিয়ে যখন ব্যস্ত ভারত সরকার সেই সময় সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি এদেশে ঢোকানোর চেষ্টা চালাচ্ছে পাক সেনা। গত পয়লা এপ্রিলই কেরান সেক্টরে ৫ জঙ্গিকে খতম করেছে ভারতীয় সেনা।
ভারতীয় সেনা জানাচ্ছে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে পাক বাহিনী ১১৪৪ বার সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করেছে। তার মধ্যে গত মার্চে যখন দুই দেশেই করোনার প্রকোপ বাড়ছে সেই সময় সংঘষ বিরতি লঙ্ঘনের সংখ্যাটা ছিল ৪১১। এর আগে জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে ২০১৯ সালে মোট ৬৮৫ বার এবং ২০১৮ সালে ৬২৭ বার সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে।
এদিকে ভারতীয় সেনার মাত্র ৮ জন এখনও পর্যন্ত করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সেনা কর্তা জেনারেল এমএম নারাভানে। এদের মধ্যে ২ জন চিকিৎসক এবং একজন ১ জন নার্সিং অ্যাসিস্টেন্ট। আক্রান্তদের মধ্যে ইতিমধ্যে ৪ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এদিকে লাদাখে আক্রান্ত জওয়ানও এখন পুরোপুরি সুস্থ ও তিনি কাজে যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সেনা প্রধান।
এদিকে দেশে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ভারতীয় জওয়ানদের ৩৫ শতাংশ অফিসার ও ৫০ শতাংশ জওয়ানকে ওয়ার্ক ফ্রম হোমে পাঠান হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে সংক্রমণে শিকার না হওয়া জওয়ানদের ফের ইউনিটে যোগ দেওয়ার জন্য ডেকে পাঠান হচ্ছে। এজন্য বেঙ্গালুরু থেকে জম্মু এবং বেঙ্গালুরু থেকে গুয়াহাটি পর্যন্ত বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান সেনা প্রধান।