নোবেল জয়ের পরই সরাসরি মোদী সরকারের অর্থনৈতিক নীতির সমালোচনা করেছিলেন বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিলেন ভারতীয় অর্থনীতি মোটেই ভাল অবস্থায় নেই। নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পিছনে কোনও গভীর অর্থনৈতিক ভাবনা ছিল না বলে দাবি করেছিলেন। মঙ্গলবার প্রথমবার নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর কিন্তু অনেকটাই পাল্টে গেল তাঁর সুর। বললেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাবনা-চিন্তা বেশ অনন্য।
এদিন প্রদানমন্ত্রীর দপ্তরে বেশ অনেকক্ষণ কথা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও নোবেলজয়ী ভারতীয় অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যা নিয়ে টুইট করে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে স্বাস্থ্যকর ও দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। ভারত অভিজিতের কীর্তিতে গর্বিত।
তারপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিজিৎ জানান, প্রধানমন্ত্রী যে তাঁকে এতটা সময় দিয়েছেন তার জন্য তিনি কৃতজ্ঞ। ভারত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর ভাবনা ভাগ করে নিয়েছেন নোবেলজয়ীর সঙ্গে। বিভিন্ন নীতি গ্রহণের পিছনে নরেন্দ্র মোদীর কি ভাবনা ছিল তা জানিয়েছেন। যা অভিজিতের মতে বেশ অনন্য।
আরও পড়ুন - নোবেলজয়ীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত, কী কথা হল মোদী-অভিজিতে, চলছে জল্পনা
আরও পড়ুুন- আমেরিকার জামাই হলেই নোবেল, 'বাস্তব সত্য' বললেন দিলীপ
আরও পড়ুন - নোবেলজয়ীর পাতে চাই ভাল ইলিশ, উদ্য়োগী হয়ে ফোন নুসরতের
সরকার চালানোর বিষয়টি কীভাবে দেখেন তাও মোদী জানিয়েছেন অভিজিৎকে। জানিয়েছেন এতদিন সরকার-কে সাধারণ মানুষ অবিশ্বাসের চোখেই দেখেছে। যার সুযোগ নিয়ে এতদিন সরকার নিয়ন্ত্রণ করত সমাজের উচ্চ শ্রেণীর মানুষই। সরকারের সংবেদনশিলতার অভাব ছিল।
এইসব তথ্য দিতে দিতেই মোদী অভিজিৎকে জানিয়েছেন, তিনি কীভাবে সেই অবস্থাটার পরিবর্তন করতে চাইছেন। আমলাতন্ত্রের হাত থেকে সরকারকে মুক্ত করতে চাইছেন। সরকারকে আরও বেশি করে সংবেদনশীল করে তুলতে চাইছেন। মানুষের চাহিদাকে গুরুত্ব দিচ্ছে তাঁর সরকার। সমাজের বাস্তবচিত্রটা প্রকাশ্যে আনতে চাইছে।
অভিজিৎ জানান, এই বিষয়টা ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন এমন একটি আমলাতন্ত্র গড়ে তুলতে হবে, যারা সাধারণ মানুষের মধ্যে থাকবে, সাধারণ মানুষের জীবনের ছবিটা কেমন, তা সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখবে। তা না হলে সংবেদনশিলতাহীন সরকারই রাজ করবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের অভিজ্ঞতা একাবারে অনন্য বলে জানিয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ।