১৪ বছর আগে মুম্বইয়ের বুকে সন্ত্রাসের দাগ এখনও মিলিয়ে যায়নি। আরব সাগর হয়ে ভারতের বানিজ্য নগরীতে প্রবেশ করে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার ১০ জঙ্গি।
২৬/১১ মানেই ইতিহাসের পাতায় কালো দিন। ২৬/১১ মানেই ফের একবার ফিরে আসে ২০০৮ সালের সেই ভয়াবহ স্মৃতি। দেশের বানিজ্য নগরীতে সন্ত্রাসবাদের তাণ্ডব দেখেছিল গোটা দেশ। বিলাশ বহুল হোটেল এক মুহূর্তেই পরিণত হয়েছিল মৃত্যুপুরীতে। সেই রক্তাক্ত স্মৃতি আজও তারা করে বেড়াচ্ছে সমগ্র ভারতবাসীকে। ২৬/১১-এ নিহতদের স্মরণ করে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর বললেন, 'সন্ত্রাসবাদ মানবতার শত্রু।' ২৬/১১ ঘটনার ১৪ বছর পরও পরোক্ষভাবে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জয়শংকর বললেন, 'আজ ২৬/১১-র দিন ভারতের পাশাপাশি গোটা দুনিয়া নিহতদের স্মরণ করবেন। এই জঘন্য হামলার চক্রান্তকারীদের বিচার হবেই।'
উল্লেখ্য ১৪ বছর আগে মুম্বইয়ের বুকে সন্ত্রাসের দাগ এখনও মিলিয়ে যায়নি। আরব সাগর হয়ে ভারতের বানিজ্য নগরীতে প্রবেশ করে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার ১০ জঙ্গি। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় রক্তাক্ত হয় মুম্বইয়ের ঐতিহ্যবাহী তাজ ও ওবেরয় হোটেল। বাদ যায়নি শহরের হাসপতাল থেকে রেল স্টেশন। ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৬৬ জনের। আহত হন প্রায় ৩০০ জন। NSG নামিয়ে নিকেশ করা হয় জঙ্গিদের। পরপর নয় জঙ্গি নিহত। গ্রেফতার করা হয় আজমল কাসভ নামের এক জঙ্গিকেও। পরে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডও দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর জলপথে আরও বাড়ানো হয় নিরাপত্তা। ১৪ বছর আগের সেই ঘা এখনও না শুকোলেও সন্ত্রাস মোকাবিলায় একের পর এক কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন -
বড়সড় নাশকতার ছক ফাঁস, জম্মু কাশ্মীরে যাত্রীবাহী বাস থেকে উদ্ধার শক্তিশালী বিস্ফোরক