দিনের সাধারণ তাপমাত্রা থাকে প্রায় মাইনাস ২০° সেলসিয়াস, সেই বরফাবৃত LAC আর LOC-র মাঝে সীমান্তনিবাসী কিছু সাধারণ মহিলার রোজকার রুটিন এটাই।
‘থ্রি ইডিয়টস’-এর ফুংসুক ওয়াংড়ু-কে মনে আছে? বাস্তবে তিনিই লাদাখের শিশুদের ‘এ ফর অ্যাপেল, বি ফর বল’ পড়ানো সোনম ওয়াংচুক। বিখ্যাত এই বিজ্ঞানীর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে মাঝেমাঝেই ভেসে ওঠে দুর্গম পার্বত্য এলাকার কিছু অভাবনীয় ছবি। তেমনই এক ছবি ধরা পড়ল জানুয়ারির কনকনে ঠাণ্ডায়।
একদিকে সিয়াচেন আর পাকিস্তানের সীমানা, অন্যদিকে চিন এবং ভারতের গালওয়ানের সীমানা, মধ্যিখানে খারদুংলা গ্রাম। দিনের আলোতেও তাপমাত্রা থাকে প্রায় মাইনাস ২০° সেলসিয়াস, গ্রীষ্মকালীন মানুষের পক্ষে সেখানে নিশ্বাস নেওয়াও কঠিন। এইরকমই এক গ্রামের কিছু নিঃস্বার্থ মানুষের কাজ তুলে ধরলেন বিজ্ঞানী সোনম ওয়াংচুক।
সমুদ্রপৃষ্ট থেকে প্রায় ১৮ হাজার ফুট উচ্চতায় বিপজ্জনক পাহাড়ের রাস্তাকে আরও ভয়াবহ করে তোলে বরফের পুরু স্তর। বিশ্বের দ্বিতীয় উচ্চতম এই গ্রামের মহিলারা নিজের উদ্যোগে বেলচা নিয়ে এসে সেই বরফের স্তর সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করেন। এই কাজে তাঁদের কোনও লাভ বা লোকসান নেই। শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য এবং দুঃসাহসিক ভারতীয় সেনাবাহিনীর যাতায়াতের পথ পরিষ্কার করার জন্য এই কাজ করেন তাঁরা।
উপস্থিত ৪ জন মহিলার নাম যথাক্রমে শেওয়াং দোলমা, মতুপ আংমো, শেওয়াং দোলমা এবং রিগজেন দোলমা। সোনম ওয়াংচুকের বক্তব্য অনুযায়ী, এই মহিলারাও ভারত সীমান্তের একেকজন ‘হিরো’। রোজ সকালে বরফে ঢাকা রাস্তা পরিষ্কার করে তাঁরাও দেশের সীমানার সুরক্ষায় প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন-
ফ্লাই ওভারের নিচে দাঁড়ালেই টাকার বৃষ্টি, বেঙ্গালুরুতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির আজব কাণ্ড!
কুন্তলের বয়ানের সঙ্গে মিলছে না তাপসের বয়ান, ১৩ ঘণ্টা জেরার পরেও আবার জিজ্ঞাসাবাদ করবে ইডি
বিশ্বভারতীর পর রবীন্দ্রভারতী, সরস্বতী পুজোর আগে পড়ুয়া বনাম কর্মীদের হাতাহাতিতে রণক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয়
মুর্শিদাবাদে পঞ্চায়েত প্রধানের নির্বাচনের পরেই চলল গুলি, হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরেও বাঁচানো গেল না তৃণমূল নেতাকে