বন্যা এবং আর্থিক সংকট, দুই দানবের চাপে পড়েও ভারতীয় বিমানঘাঁটি লাগোয়া বিমানবন্দর তৈরি অব্যাহতই রেখেছে পাকিস্তান

চিন সরকার ৯০০ কোটি ডলার সাহায্য করার কথা ঘোষণা করলেও গত ৪ মাসে চিন থেকে পাকিস্তানে বিনিয়োগ এসেছে মাত্র ৭ কোটি ৪৮ লক্ষ ডলার। 

Sahely Sen | Published : Nov 24, 2022 1:05 PM IST

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ভয়াবহ বন্যায় প্রায় অর্ধেক পাকিস্তান প্লাবিত হয়ে ধ্বংস হয়ে গেছে। সেই ক্ষতি এখনও পূরণ করতে পারেনি দেশের প্রশাসন। একই সঙ্গে, প্রবল আর্থিক সংকটের মধ্যে ডুবে যাচ্ছে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণও কমছে দ্রুত। বিশ্ব অর্থ সংস্থা (আইএমএফ)-ও একেবারেই সাহায্যের হাত বাড়াচ্ছে না দরিদ্র দেশটার দিকে। এই পরিস্থিতিতে অর্থের জোগান পেতে হন্যে হচ্ছে পাকিস্তান।

চলতি নভেম্বরেই চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং আর্থিক বিপদে পড়ে থাকা ইসলামাবাদের জন্য ৯০০ কোটি ডলার সাহায্য করার কথা ঘোষণা করেন, ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ৭৩ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা। জিনপিং আশ্বস্ত করেচিলেন, পাকিস্তানকে আর্থিক সংকট থেকে মুক্ত করতে বেজিং সম্পূর্ণ রূপে সাহায্য করবে। অথচ, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে এসে পাকিস্তান স্টেট ব্যাঙ্কের তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ২০২২ সালের জুলাই থেকে অক্টোবরের মধ্যে পাকিস্তানে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ ৭২ কোটি ৬০ লক্ষ ডলার থেকে কমে ৩৪ কোটি ৮০ লক্ষ ডলারে এসে ঠেকেছে।

পাক স্টেট ব্যাঙ্কের রিপোর্ট, বিগত ৪ মাসে চিন থেকে বিনিয়োগ এসেছে মাত্র ৭ কোটি ৪৮ লক্ষ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার মান প্রায় ৬১১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা। গত ২ বছর ধরে পাকিস্তানে চিনা বিনিয়োগ ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে বলেও প্রমাণ করছে ওই রিপোর্ট। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের একটা অংশ বলছে, অবিলম্বে বড় অঙ্কের বিদেশি বিনিয়োগ আনা সম্ভব না হলে খুব তাড়াতাড়ি শ্রীলঙ্কার মতোই দেউলিয়া হয়ে যাবে পাকিস্তান। যদিও পাক পরিকল্পনা মন্ত্রী আসান ইকবাল এই সম্ভাবনার কথা একেবারে উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘‘দেউলিয়া হওয়ার কোনও আশঙ্কাই নেই। কিছু আর্থিক সমস্যা আছে, তবে তা অতি দ্রুত মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশের আর্থিক সঙ্কট নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল।’’

যদিও, এই আর্থিক অনটন পাকিস্তান সরকারের কাছে নেহাতই একটা তুচ্ছ বিষয়। মূল লক্ষ্য এখন ভারতের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধাচারন করা। তাই, অত্যন্ত সংকটজনক পরিস্থিতিকে আমল না দিয়েই ভারতীয় বিমান বাহিনীর ঘাঁটি লাগোয়া মুরিদকে এলাকায় বিমান বন্দর তৈরির কাজ অব্যাহত রেখেছে পাক প্রশাসন। মুরিদকে বিমান বন্দর, একবার প্রস্তুত হলে, শুধুমাত্র জম্মু থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরত্বে নয়, শ্রীনগরেরও থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরত্বে চলে আসবে পাকিস্তান। এটি পাঠানকোট এবং অবন্তিপোরার মতো এলাকায় ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানঘাঁটির কাছাকাছি থাকবে। এই এয়ারফিল্ডটি লস্কর-ই-তৈবা সংগঠনের সদর দফতরের প্রতিরক্ষার সাথেও জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।


আরও পড়ুন-
পাহাড়ের রাজনীতিতে দুর্বল হল হামরো পার্টি, দার্জিলিং পুরসভা চলে গেল গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার হাতে
জোকা-তারাতলায় মেট্রো প্রস্তুতি চূড়ান্ত, ডিসেম্বরের কত তারিখে যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য খোলা হবে পার্পেল লাইন?
আবার দেখা দিয়েছে নিম্নচাপের ফাঁড়া, তার আগে বঙ্গে আজ মরশুমের শীতলতম দিন

Share this article
click me!