গত বছর ডিসেম্বরে জন্ম নিয়েছিল ছোট্ট সাইবিয়ে। জন্মের পাঁচ মাস পরে এখন সে-ই বিশ্বের সবথেকে ক্ষুদ্র মানুষের খেতাব অর্জন করেছে। সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব ইওয়া-র প্রকাশিত তথ্যে জানা গিয়েছে এই কথা।
শিশুটির জন্মের সময়ে তার ওজন ছিল মাত্র ২৪৫ গ্রাম, যা কিনা একটা বড় মাপের আপেলের সমান। সান দিয়াগোর শার্প মেরি বিচ হসপিটাল, যেখানে এই বিস্ময় বালিকা জন্ম নেয়, সেই হাসপাতালের পক্ষ থেকে তার জন্মের পাঁচ মাস পরে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বর্তমানে ওই শিশুটির ওজন মাত্র আড়াই কেজি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মাত্র ২৩ সপ্তাহের মাথায় শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়েছিল। মায়ের পেটের মধ্যে থাকার সময়ে তাঁর মায়ের কিছু গুরুতর শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। আর সেই কারণেই নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শিশুটিকে সার্জারির মাধ্যমে বের করে আনা হয়।
যদিও হাসপাতালের পক্ষ থেকে ওই শিশুর পরিবার সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য গোপন রাখা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে যে, সাইবিয়ের বেঁচে থাকাটা অত্যন্ত বিস্ময়কর একটা ঘটনা। কারণ জন্মের সময়ে তার বেঁচে থাকার কোনও কথাই ছিল না। তার জন্মের সময়ে তার মায়ের রক্তচাপ এতটাই বেশি ছিল যে দ্রুত সিজার না করলে তাঁকে বাঁচানো যেত না। অন্তত সেইরকমটাই ধরে নিয়েছিলেন সাইবিয়ের মা। তিনি ভেবেই নিয়েছিলেন যে, তাঁর সন্তান হয়তো আর প্রাণে বাঁচবে না। এমনকী চিকিৎসকরাও জানিয়ে দেন যে, ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর আর মাত্র কয়েক ঘণ্টাই হয়তো বাঁচবে সে। কিন্তু ধীরে ধীরে পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে যুজিয়ে নিতে নিতে গত পাঁচ মাস ধরে পৃথিবীর বুকে বেড়ে চলেছে সাইবিয়ে।
আর বাধ্যতামুলক নয় হিন্দি, চাপের মুখে নয়া সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
মার্কিন মুলুকে যাওয়ার ভিসা পেতে আবেদনকারীকে জমা দিতে হবে সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত তথ্য
ছোট্ট সাইবিয়েকে বাঁচাতে পেরে রীতিমতো হতবাক চিকিৎসকরাও। তাঁদের কথায়, যেসব শিশুরা ২৮ সপ্তাহ কিংবা তার আগে ভূমিষ্ঠ হয়, তাদের বাঁচিয়ে রাখা অসম্ভব। কারণ সেক্ষেত্রে মস্তিস্কে রক্ত ক্ষরণ এবং হৃদপিন্ড ও ফুসফুসের বিভিন্ন সমস্যার কারণে তাঁদের বাঁচানো যায় না। কিন্তু মাত্র ২৩ সপ্তাহের মাথায় জন্ম হলেওসাইবিয়ে যেন নজির গড়েছে। এই ধরণের কোনও সমস্যাতেই ভোগেনি সে।