ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় জাতীয় মানবধিকার কমিশনের (NHRC)রিপোর্ট পড়তে রাজ্যকে সময়সীমা বেঁধে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।২ অগাস্ট রাজ্যের তরফে দেওয়া অতিরিক্ত হলফনামা নিয়ে মামলার পরবর্তী শুনানি।
ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় জাতীয় মানবধিকার কমিশনের (NHRC)রিপোর্ট পড়তে রাজ্যকে সময়সীমা বেঁধে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, NHRC-র রিপোর্ট পড়তে আরও বেশি সময় চেয়েছিল রাজ্য। কিন্তু ৩১ জুলাই পর আর সময় দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২ অগাস্ট রাজ্যের তরফে দেওয়া অতিরিক্ত হলফনামা নিয়ে মামলার পরবর্তী শুনানি।
আরও পড়ুন, সোনিয়া-কেজরিওয়ালের আগে দলীয় সাংসদের সঙ্গে বৈঠকে মমতা, কোন পথে বিরোধী জোট
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে NHRC-র রিপোর্ট নিয়ে মামলার শুনানি শুরু হয়। জাতীয় মানবধিকার কমিশনের তরফে আইনজীবী সুবীর স্যান্যাল জানান, তাঁর চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়ার পরেও ভোট পরবর্তী হিংসার ইস্যুতে একাধিক রিপোর্ট এসেছে। তাই সাপ্লিমেন্টারি রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে চান। পাশাপাশি অপর এক আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল অভিযোগ তোলেন, রিপোর্ট পাওয়ার পর রাজ্য সরকারের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ছিল।কিন্তু তা নেওয়া হয়নি। সিট (SIT) কী করছে বলে প্রশ্ন তোলেন প্রিয়াঙ্কা।
আরও পড়ুন, চব্বিশে চোখ, বিকেলের সোনিয়া-মমতার চায়ে পে চর্চায় জোটের জল্পনা
এরপর রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, জাতীয় মানবধিকার কমিশনের রিপোর্ট এত কম সময়ে খতিয়ে দেখা সম্ভব নয়। আরও বেশি সময় লাগবে। সেই রিপোর্ট পড়ে ফের হলফনামা জমা দেবে রাজ্য। এই প্রসঙ্গ উঠতেই মৃত অভিজিৎ সরকারের আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি বলেন, কেন অতিরিক্ত সময় চাইছে রাজ্য, সময় দিলে সব প্রমাণ নষ্ট হয়ে যাবে। পুলিশ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। রাজ্য তাঁদের উত্তর জানিয়ে দিয়েছে, তাহলে কেন সময় দেওয়া হবে', বলে প্রশ্ন তোলেন জেঠমালানি। যদিও প্রথমে ৫ বিচারপতির বেঞ্চ এই আবেদন খারিজ করে দিলেও সওয়াল-জবাবে এগোতে থাকলে বিচারপতিরা সময় দেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নের্তৃত্বাধীন বৃহত্তর বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, অতিরিক্ত হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য রাজ্যকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত য়ময় দেওয়া হবে। এর বেশি সময় দেওয়া যাবে না।'
আরও পড়ুন, 'প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন', মমতার দিল্লি সফর নিয়ে কটাক্ষ সায়ন্তনের
প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসার ইস্যুতে NHRC-র তালিকা জমা দেওয়ার পর পরই এই গোপন রিপোর্ট প্রকাশের চলে আসে। দেখা যায় রিপোর্টে রাজ্যের মন্ত্রী সহ একাধিক বিধায়ককে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কুখ্যাত দুষ্কৃতী বলে উল্লেখ করেছে। এমনকি এসেছে এক দিনমজুরের নাম ও। এই তালিকা তে অন্যান্য জেলার সাথে মালদা জেলার ৪ জন তৃণমূল কর্মীর নাম রয়েছে। তার মধ্যে একজন পেশায় দিনমজুর হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ভালুকা বাজারের জয়দেব ওঝা। সে পেশায় দিনমজুর হলেও নির্বাচনের সময় শাসক দলের ম্যাসকট হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিল। বিধানসভা নির্বাচনের মাস দুয়েকের মধ্যেই এরকম এক তালিকা প্রকাশ্যে চলে আসায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল।
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস