বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাংলার মেয়ে পাচার, গুজরাট থেকে নির্যাতিতাকে উদ্বার করল CID-AHTU-IJM

  • গুজরাট থেকে উদ্ধার হল বাংলা থেকে পাচার হওয়া এক কিশোরী 
  •   স্বপ্ন দেখিয়ে পাচারকারীরা প্রায়শই দুর্বলতার সুযোগ তোলে 
  • নির্যাতিত মেয়েটি গুজরাটে গিয়ে জানতে পারে সে গুড়ে বালি 
  • মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেয়েদের যৌনতায় লিপ্ত হতে বাধ্য করায় 

Ritam Talukder | Published : Nov 13, 2020 12:24 PM IST / Updated: Nov 13 2020, 06:28 PM IST

গুজরাট থেকে উদ্ধার হল বাংলা থেকে পাচার হওয়া এক কিশোরী। শুক্রবার রাতে বছর ১৪ ওই কিশোরীকে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি-অ্যান্টি হিউম্যান ট্র্যাফিকিং ইউনিট (এএইচটিইউ) এবং আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার মিশন (আইজেএম) এবং মিশন মুক্তি ফাউন্ডেশনের যৌথ সহযোগিতায় গুজরাটের রাজকোট জেলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন, ISI-র নির্দেশেই অপরাধে সামিল বাংলার তানিয়া, ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সেনাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব

 

 পাঠারকারীরা প্রেমিক সেজে মেয়েদের প্রায়শই যৌনতায় লিপ্ত হতে বাধ্য করায়


  ২০২০ সালেও ভালভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়ে পাচারকারীরা প্রায়শই দুর্বলতার সুযোগ তোলে। শেষটায় একেবারে ক্ষতি করে রেখে দেয় । এই ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম হয়নি। ইতিমধ্য়েই এক বিবাহিত ব্যাক্তি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সোনার সংসারের স্বপ্ন দেখায়। এরপর নির্যাতিত মেয়েটি গুজরাটে গিয়ে জানতে পারে সে গুড়ে বালি। নির্যাতিতা পরে জানতে পারে ওই ব্যক্তি আগে থেকেই বিবাহিত। চলতি বছরের অক্টোবারের প্রথম সপ্তাহে নির্যাতিতাকে নিয়ে রাজকোট জেলায় নিয়ে যায়। আর এইভাবেই পাঠারকারীরা প্রেমিক সেজে, মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেয়েদের প্রায়শই যৌনতায় লিপ্ত হতে বাধ্য করায়। চলতে থাকে পৈশাচিক শোষণ।

 

 

আরও পড়ুন, ২ স্ত্রীর সঙ্গে লাইভ স্ট্রীমিং চলাকালীন সঙ্গম, পুলিশের জালে গুণধর যুবক


লোকলজ্জার  ভয় পায়নি  নির্যাতিতা মেয়েটির পরিবার  

তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পাচার হওয়া মেয়েদের খোঁজ মেলে না অনেক ক্ষেত্রে পরিবারের গড়িমশির জন্য। লোকলজ্জার বস্তাপচা সোশ্যাল ট্য়াবুতে অবশ্য এই ক্ষেত্রে এই  নির্যাতিতা মেয়েটির পরিবার গা ভাসায়নি। সবথেকে জরুরী কাজটাই তাঁরা করেছিল। প্রাথমিকভাবে জীবনতলা থানায় পাচার হওয়া মেয়ের নামে ডাইরি করে ওই পরিবার। এই মামলা ছিল পাচার হওয়া মেয়েটির তদন্তের দায়িত্বে ছিল সিআইডি-অ্যান্টি হিউম্যান ট্র্যাফিকিং ইউনিট (এএইচটিইউ)। তবে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করার পাশপাশি পাচারকারী ব্যাক্তিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন, কলকাতার ভুয়ো ডেটিং সাইটে ডুব, রাত বাড়তেই নারী কন্ঠে বোল্ড একাধিক

 

'দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাঁদের উৎস'

আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার মিশন (কলকাতা) আইন প্রয়োগকারী উন্নয়ন বিভাগের প্রধান জনাব বুমজানগাম চিরু জানিয়েছেন, পাচারকারীর পক্ষে পশ্চিমবঙ্গের অভ্যন্তরে যৌনকর্মের জন্য শিশুদের বিক্রি করা কঠিন বলে মনে করছেন তিনি। কারণ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাঁদের উৎস। পুলিশ, এশিয়ান সহয়োগী সংস্থা ইন্ডিয়া ( এএসএসআই) এবং ডিসিআরটি-এর মতো ক্লাব এবং এনজিওগুলি পশ্চিমবঙ্গ থেকে পাচার হওয়া অনেক মেয়েকে তাদের পরিবারের সাথে পুনরায় একত্র হতে সক্ষম করেছে।' এবং তিনি এনিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী বলে জানিয়েছেন।

Share this article
click me!