শুক্রবার থেকেই বেড়েছে বাজার দর। শনিবার অর্থাৎ ভাতৃদ্বিতীয়ার দিন সকালেও তার কোনও অন্যথা হল না। ফলে অনেক আশা করে শনিবার সকালে যাঁরা বাজারে গিয়েছিলেন, ভেবেছিলেন ভাইয়ের পছন্দের পদগুলি রান্না করার জন্য সবজি-মাছ-মাংস কিনবেন, কিন্তু দাম শুনে তাঁরা রীতিমতো হতাশ।
লক্ষ্মীপুজোর (Laxmi Puja) পর মিটেছে কালীপুজো (Kali Puja)। ওই সময় বাজারদর ছিল অনেকটাই বেশি। তবে অনেকেই ভেবেছিলেন ভাইফোঁটার (Bhai Phota) সময় বাজার দর কিছুটা হলেও কমে যাবে। কিন্তু, তা আর হল কই। ভাইফোঁটার দিন সকালে বাজারে হাজির হয়ে রীতিমতো হতাশ হতে হল কলকাতাবাসীকে (Kolkata)। ভাইফোঁটার দিন সকালেও অগ্নিমূল্য বাজার দর (Market Price)। যে সবজিতে হাত দিচ্ছেন তাতেই ছ্যাঁকা লাগছে আম জনতার। অগ্নিমূল্য বাজারদরে নাভিশ্বাস উঠেছে মধ্যবিত্তের।
শুক্রবার থেকেই বেড়েছে বাজার দর। শনিবার অর্থাৎ ভাতৃদ্বিতীয়ার দিন সকালেও তার কোনও অন্যথা হল না। ফলে অনেক আশা করে শনিবার সকালে যাঁরা বাজারে গিয়েছিলেন, ভেবেছিলেন ভাইয়ের পছন্দের পদগুলি রান্না করার জন্য সবজি-মাছ-মাংস (Vegetable Market) কিনবেন, কিন্তু দাম শুনে তাঁরা রীতিমতো হতাশ। সবের দামেই ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে। কিন্তু, ভাইফোঁটা তো করতেই হবে! তাই নিয়মরক্ষা করতে গিয়ে রীতিমতো পকেটে টান পড়ছে মধ্যবিত্তের। লক্ষ্মীপুজোর সময় থেকেই দাম বেড়েছিল, আর ভাইফোঁটায় সেই দাম আরও বাড়ল।
আরও পড়ুন- আজ সকাল থেকেই মিষ্টির দোকানে ভিড় কলকাতায়, জানুন কতক্ষণ থাকছে ভ্রাতৃ দ্বিতীয়া
বাজারদর অগ্নিমূল্য হওয়ায় রীতিমতো সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। কেউ জানিয়েছেন, বাজারদর অগ্নিমূল্য হওয়ায় খালি হাতেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। কেউ আবার বলেন, ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে শুধু নিয়ম রক্ষার মতোই জিনিস কিনেছেন। আসলে বাজারদর অত্যাধিক বেশি হওয়ায় ভাইকে পাতপেড়ে খাওয়ানো প্রায় অসম্ভব বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন, Weather Report: তাপমাত্রা স্বাভাবিকের ৩ ডিগ্রী নিচে, কুয়াশা মাখা ভোরে সূর্যোদয় কলকাতায়
অনেক ক্রেতাই মনে করছেন তেলের দাম বাড়ার কারণেই বাজারদর এতটা বেড়ে গিয়েছে। কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ছবিটাই একই রকম। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) অবস্থা একেবারেই ভালো নয়। কারণ ইয়াস ও তারপর একাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের (Natural disaster) প্রভাবে ওই সব এলাকায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জলের তলায় চলে গিয়েছে বহু জমি। নষ্ট হয়েছে মাঠের পর মাঠ ফসল। ফলে বাজারে জোগান বাড়াতে শিয়ালদার (Sealdah) কোলে মার্কেটের উপর ভরসা করতে হচ্ছে। শিয়ালদা থেকে সবজি আনতে গিয়ে খরচ বেড়ে যাচ্ছে অনেকটাই। তাই তার জন্যই ওই এলাকায় বাড়ছে বাজারদর।
আরও পড়ুন- কোভিড আবহে ভাইয়ের শরীরে পুষ্টি, পাতে থাকুক ফলযোগে মিষ্টি
এছাড়া পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিবহনের খরচ বেড়ে গিয়েছে। ফলে দূর থেকে সবজি-মাছ আনতে গিয়ে অনেক বেশি খরচ হয়ে যাচ্ছে। তার প্রভাব পড়ছে বাজারে। আর তার জেরেই টান পড়ছে ক্রেতাদের পকেটে। রাজ্যের বেশিরভাগ বাজারেই এই দাম দেখে চোখ কপালে উঠেছে ক্রেতাদের। অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। আলু প্রতি কেজির দাম ১৮ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২২ টাকা। পেঁয়াজ প্রতি কেজির দাম ৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৫ টাকা। পটল প্রতি কেজির দাম ৪০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা। বেগুন প্রতি কেজির দাম ৬০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা। টম্যাটো প্রতি কেজির দাম ৬০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০০ টাকা। কাঁচালঙ্কা প্রতি কেজির দাম হয়েছে ২০০ টাকা। বাঁধাকপি প্রতি কেজির দাম ৬০ টাকা। ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ টাকা। আর এই বাজারের দামের প্রভাব পড়েছে মিষ্টির উপরে। সব মিলিয়ে বাজারদরের চাপে ভাইফোঁটার সকালে মাথায় হাত পড়েছে মধ্যবিত্তের।