আপনার সন্তান কি সারাক্ষণ স্মার্টফোনে মগ্ন, তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে মেনে চলুন এই উপায়গুলি

  • শিশুর স্মার্টফোনে আসক্তি কমান
  • মেনে চলুন এই পদ্ধতিগুলি
  • বাড়ির বয়স্ক মানুষদের সংস্পর্শে নিয়ে আসুন
  • বাইরে খেলতে পাঠান

Indrani Mukherjee | Published : Jun 13, 2019 12:16 PM IST / Updated: Jun 13 2019, 06:11 PM IST

আজকের দিনে প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে সব মানুষই এর দ্বারা খুবই লাভবান হয়ে উঠেছে। কিন্তু এর বলি হচ্ছে শিশুরা। বড়দের পাশাপাশি ছোটরাও এখন স্মার্টফোন ব্যবহারে পটু হয়ে উঠেছে। কিন্তু সবথেকে দুঃখের বিষয় হল এটাই যে, অতিরিক্ত মাত্রায় স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে শিশুরা নানানরকম সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে। যার মধ্যে অন্যতম হল পড়াশোনায় মনোযোগের অভাব। যার সুদুর প্রসারী প্রভাব পড়তে পারে শিশুর পড়াশোনাতেও। কয়েকটি উপায় অবলম্বন করে সহজেই শিশুর স্মার্টফোনের ওপর আসক্তি কমানোর চেষ্টা করুন।

১) শিশুর অভ্যাস বদল করুন- আপনার শিশু যেই সময়টি স্মার্চফোন ব্যবহার করে সেই সময়টা তাঁকে অনেয কোনও কাজে মগ্ন রাখার চেষ্টা করুন। যেমন- গৃহস্থালির কোনও কাজে আপনাকে সাহায্য করতে বলুন, গল্পের বই পড়তে দিন, কোনও ছোট-খাটো কাজ দিন এবং সেটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে বলুন। প্রথম প্রথম হয়তো সে কান্নাকাটি করবে, কিন্তু একটা সময় পর ঠিক অভ্যাস হয়ে যাবে। 

২)বাইরে খেলতে পাঠান- আজকালকার দিনে কংক়্রিটের ভিড় এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, শিশুদের বাইরে খেলতে যাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই কমে গিয়েছে। স্মার্টফোনের আসক্তি অনেকটাই কমে আসবে যদি তাকে বাইরে খেলতে যাওয়ার সুযোগ করে দেন।

৩) বাড়ির বয়স্ক মানুষদের সংস্পর্শে নিয়ে আসুন- বাড়ির বয়স্ক মানুষ যেমন- দাদু বা ঠাকুমা-এঁদের চোখের মণি কিন্তু আপনার সন্তান। তাই দিনে যতটা সময় পারা যায় আপনার সন্তানকে তাঁদের সংস্পর্শে রাখার চেষ্টা করুন। এতে তাঁদেরও সময় যেমন কাটবে, তেমনই আপনার সন্তানের স্মার্টফোনের প্রতি আসক্তিও তত কম হবে।

৪)আদর্শ হওয়ার চেষ্টা করুন- শিশুর ধর্মই হল যে সে যা দেখবে সেটাই অনুকরণ করার চেষ্টা করবে। তাই আপনিও আজ থেকে দিনের মধ্যে যতটা কম সময় সম্ভব স্মার্টফোন ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। 

তাল শাঁসের স্বাস্থ্যগুণ অনেক, জেনে নিয়ে আজ থেকেই খাওয়া শুরু করুন

৫) স্মার্টফোন দেখার সময় বেঁধে দিন- দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে স্মার্টফোন ব্যবহার করা যাবে না- এমন নিয়ম চালু করুন। ওই সময়ের বাইরে পড়াশোনা বাদে অন্য যে-কোনও কাজ করলেও স্মার্টফোন ব্যবহার করতে দেবেন না। প্রয়োজনে একটু কঠোর হন। দেখবেন ধীরে ধীরে তার এই আশক্তি কেটে গিয়েছে। 

Share this article
click me!