বিশেষজ্ঞরা উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছেন, কোনও গ্রাহক নিজের নাকের পরিবর্তন করতে চান। কিন্তু তিনি সঙ্গে করে নিজের সেলফি ছবি নিয়ে এসেছেন মোবাইল ফোনে। কিন্তু তাতে রয়েছে একাধিক সমস্যা।
সেলফোনের সেফলি মুখের বৈশিষ্ট্যগুলি বদলে দিতে পারে। বারবার সেলফি তুললে মুখ বিকৃত হয়ে যেতে পারে। তেমনই ভয়ঙ্কর রিপোর্ট সামনে এল নতুন এক গবেষণয়। 'প্লাস্টিক অ্যান্ড রিকনস্ট্রাকটিভ সার্জারি' জার্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে একটি রিপোর্ট। সেখানে গবেষকরা দাবি করেছেন সেলফির কারণে আগামী দিনে বেড়ে যেতে পারে প্ল্যাস্টিক সার্জারির সংখ্যা।
আগামী দিনে এটি একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। আর সেই কারণে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের সঙ্গে প্ল্যাস্টিক সার্জেনদের আলোচনা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। গবেষকরা জানিয়েছেন টিন এজাররা যদি তাদের নির্ধারিত গাইডলাইন মেনে চলেন তাহলে এজাতীয় সমস্যা কিছুটা হলেও এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
চিকিৎসক আমিরলাক জানিয়েছেন রোগীরা বর্তমানে প্ল্যাস্টিক সার্জেনদের সঙ্গে নিজেদের প্ল্যাস্টিক সার্জারি নিয়ে আলোচনার সময় নিজেদের সেলফোনে তোলা ছবি নিয়ে আলোচনা করেন। একাধিক সময় তাঁরা ভিডিও কলের মাধ্যমে আলোচনা সারতে চান। কিন্তু এই প্রক্রিয়াই বিপদ ডেকে আনতে পারে। তিনি বলেছেন সেলফি ফোটোগ্রাফির বৃদ্ধি ও রাইনোপ্ল্যাস্টিকের জন্য অনুরোধ বৃদ্ধির মধ্যে একটি সম্পর্ক রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছেন, কোনও গ্রাহক নিজের নাকের পরিবর্তন করতে চান। কিন্তু তিনি সঙ্গে করে নিজের সেলফি ছবি নিয়ে এসেছেন মোবাইল ফোনে। কিন্তু তাতে রয়েছে একাধিক সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন সমস্যাগুলিকে চিহ্নিত করার জন্য তারা ২৩ জন মহিলা ও ৭ জন পুরুষের ওপর সমীক্ষা চালিয়েছিলেন।
বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, একটি সেলফোন নিয়ে তাঁরা প্রত্যেকের তিনটি ছবি তুলেছেন। গ্রাহক একজায়গায় বসে ছিল। প্রথম ছবিটি ১২ ইঞ্চি দূর থেকে তোলা হয়েছিল। দ্বিতীয় ছবিটি ১৮ ইঞ্চি দূর থেকে তোলা হয়েছিল। তৃতীয় ছবিটি ছিল সাধারণ দূরত্ব থেকে তোলা। তিনটি ছবিতে একই আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু সেলফিগুলিতে দেখা যাচ্ছে, ১২ ইঞ্চি দূরত্ব থেকে যে ছবি তোলা হয়েছে সেটিতে নাক ৬.৪ শতাংশ লম্বা । ১৮ ইঞ্চির সেলফিতে নাক ৪.৩ শতাংশ লম্বা দেখাচ্ছে। শুধু নাক নয় চিবুকের আয়তনও বদল হয়েছে প্রতিটা সেলফি ছবিতে। ১২ ইঞ্চির ছবিতে চিকুবের দৈর্ঘ্য ১২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। যার কারণ নাক ও চিবুকের দৈর্ঘ্যের অনুপাতও বেড়েছে প্রায় ১৭শতাংশ। চিকিৎসকদের কথায় সেলফিগুলি প্রতিটি ছবিতেই নাককে মোটা করে দেয়। এই পার্থক্যগুলি সম্পর্কে গ্রহককে জানান জরুরি।
বিশেষজ্ঞ ক্যারি ম্যাকঅ্যাডামস জানিয়েছেন এই বিকৃত ছবিগুলি সেলফি গ্রহিতারা কীভাবে নিজেদের দেখে তারওপর নির্ভর করছে অনেকটা। তিনি আরও বলেন কিশোর তরুণ ও প্রাপ্তবয়স্করা স্বপরিচয়ের জন্য একটি স্থিতিশীল ব্যবস্থা চায়। যা তাদের অন্যদের সঙ্গে তুলনা টানতে বাধ্য করে। কিন্তু এটা দুর্ভাগ্যজনক যে সেলফিগুলি সেই তুলনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। সেখানেই বিপদ লুকিয়ে রয়েছে।