দীপাবলি (Diwali) শেষ হওয়ার সাথে সাথে শুরু হয়ে যায় ছটপুজোর (Chhath Puja) প্রস্তুতি। কার্তিক শুক্লা চতুর্থী থেকে কার্তিক সপ্তমী পর্যন্ত চারদিন ধরে চলে ছটপুজো (Chhath Puja)।
দীপাবলি (Diwali) শেষ হওয়ার সাথে সাথে শুরু হয়ে যায় ছটপুজোর (Chhath Puja) প্রস্তুতি। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে দীপাবলির (Diwali) শেষে শুরু হয় পুজোর (Festival) প্রস্তুতি। কার্তিক শুক্লা চতুর্থী থেকে কার্তিক সপ্তমী পর্যন্ত চারদিন ধরে চলে ছটপুজো (Chhath Puja)। বছরে দুবার পালিত হয় ছট। প্রথমবার চৈত্র মাসের এবং দ্বিতীয়বার কার্তিক মাসে। পারিবারিক সুখ-সমৃদ্ধির জন্য নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এই পুজোর প্রবত পালন করেন।
হিন্দু পুরান অনুসারে, ছটপুজো (Chhath Puja) হল সূর্য পত্নী ছঠি মাইয়ার (Chhathi maiya) পুজো। ছট মাতাকে উষা বলা হয়। এই পুজোয় কোনও মূর্তি পুজো স্থাপন করা হয় না। ছট পুজোপ মাধ্যমে সূর্য দেবতা ও সূর্য পত্নী ছঠি মাইয়ার পুজোর করা হয়। ডুবিত এবং উদিত সূর্যকে পুজো করা হয় এই উৎসবে। তবে, আজকাল অনেক ঘাটে সূর্য ও উষার মায়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে থাকছেন। পঞ্জিকা মতে, চলতি বছর ১০ নভেম্বর ছটপুজো (Chhath Puja) । ছটপুজোয় ৩৬ ঘন্টা কঠোর ব্রত পালন করতে হয়। জেনে নিন পুজোর নিয়ম-কানুন।
আরও পড়ুন: Gold Price Today - দিওয়ালি থেকেই লাগাতার ৩ দিন দাম বাড়ল সোনার, জেনে নিন আজকের দর
খরনা(Kharna)- চলতি বছরে ৯ নভেম্বর উদযাপিত হবে খরনা। এদিন মহিলারা সারাদিন উপোস করে থাকবেন। সন্ধ্যায় মাটির চুলায় গুড়ের ক্ষীরের প্রসাদ ( jaggery kheer) তৈরি করেন এবং তারপর এই প্রসাদটি সূর্যদেবকে অর্পন করা হবে। এরপর ছট শেষ হলেই উপবাস ভেঙে সকলে এই প্রসাদ খান।
ভগবান সূর্যের (Lord Bhaskar) আরাধনা- খনার (Kharna) পরের দিন সন্ধ্যায় মহিলারা নদী বা পুকুরে দাঁড়িয়ে সূর্যদেবের পুজো করেন।
ছট উৎসবের সমাপ্তি- পুজো সমাপ্ত হবে ১১ নভেম্বর ২০২১। খনার (Kharna) পরের দিন ছট শেষ হয়। এই দিনে মহিলারা সূর্যোদয়ের আগে নদী বা পুকুরের জলে নেমে সূর্যদেবের কাছে প্রার্থনা করেন। এরপর উদীয়মান সূর্যদেবের পুজো করে এবং উপবাস ভঙ্গ করা হয়।
ছট পুজো করতে বিশেষ কিছু রীতি (Rituals) আছে। পুজোর শুরুর দিন বাড়ি পরিষ্কার করতে হয়। সেদিন সকলে নিরামিষ ভোজন করেন। এর পরদিন থেকে শুরু হয় উপোস। নির্জলা উপোস করে সন্ধ্যায় ক্ষীর ভোগ খান ভক্তরা। তৃতীয় দিন গঙ্গা বা নদীতে সূর্যদেবের পুজো করেন। সেদিনই পুজোর সমাপ্তি। এই পুজোয় প্রসাদ বিতরণের বিশেষ রীতি আছে। ছট পুজোর বিশেষ প্রসাদ ঠেকুয়া বিতরণ করা হয় সকলের মধ্যে।