অনেকের কাছে এটি নবী দিবস। মওলিদ, মুহাম্মদের জন্মদিন বা নবির জন্মদিন নামেও পরিচিত। প্রতি বছর হিজরি বর্ষের তৃতীয় মাস রবিউল আউয়ালের বারো তারিখে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সেই তিথি অনুসারে ৮ অক্টোবর পালিত হবে এই উৎসব। এই দিনই সকলে পালন করবেন বিশেষ উৎসব।
প্রতি বছর নবি হজরত মুহাম্মদের জন্মদিন উপলক্ষ্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে পালিত হয় ঈদ-ই-মিলাদ-উন-নবি। অনেকের কাছে এটি নবী দিবস। মওলিদ, মুহাম্মদের জন্মদিন বা নবির জন্মদিন নামেও পরিচিত। প্রতি বছর হিজরি বর্ষের তৃতীয় মাস রবিউল আউয়ালের বারো তারিখে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সেই তিথি অনুসারে ৮ অক্টোবর পালিত হবে এই উৎসব। এই দিনই সকলে পালন করবেন বিশেষ উৎসব।
ইসলামি মতবাদ অনুসারে, নবি হজরত মুহাম্মদ হলেন ঐশ্বরিকভাবে প্রেরিত ইসলামের সর্বশেষ নবী তথা বার্তাবাহক ও রাসুল। যার ওপর ইসলামের প্রধান ধর্মগ্রন্থ কুরান রচিত হয। আদম, ইব্রাহিম, মূসা, ঈসা (যিশু) এবং অন্যান্য নবিদের মচোই মুহাম্মদ একেশ্বরবাদী শিক্ষা প্রচার করার জন্য প্রেরিত। ইসলামি ক্যালেন্ডার অনুসারে রবিউল আওয়াল মাসের ১২ তারিখ মক্কায় জন্ম হয়েছিল নবীর। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডা অনুসারে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর জন্ম হয়। সেই উপলক্ষ্যে প্রতি বছর পালিত হয় এই নবী দিবস। দিনটি শিয়া ও সুন্নি দ্বারা আলাদা ভাবে চিহ্নিত করা হয়। সুন্নি মুসলিম সম্প্রদায় রবি উল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ এই শুভ দিনটি উদযাপন করে। বিপরীতে, শিয়া সম্প্রদায় এটি ১৭ রবি উল আউয়ালে উদযাপন করে। ঈদ-ই-মিলাদ উদযাপন হল মুসলিমদের শ্রদ্ধা, সম্মান ও ইসলামের শেষ নবীর প্রতি ভালোবাসার প্রদর্শনের একটি উপায়।
অন্য দিকে, হিন্দু ধর্মানুসারে নবি বা পরগম্বর বলতে সে সব ব্যক্তিকে বোঝানো হয় যারা বলেন যে, সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে তাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যোগাযোগ বা বার্তা বিনিময় হয়েছে। তারা নিজেরা যে শিক্ষা লাভ করেন তা নিঃস্বার্থভাবে সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেন। নবিদের অধিকাংশই মানুষকে ধর্মীয় শিক্ষা, সুসংবাদ ও সতর্কবার্তা প্রদান করে। ভারত ছাড়া ইথিওপিয়া, তুরস্ক, নাইজেরিয়া, শ্রীলঙ্কা, ফ্রান্স, ইতালি, জর্ডান ও মালদ্বীপের মতো দেশে পালিত হয় এই নবী দিবস। মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে এটি একটি বিশেষ উৎসব।
এই উৎসব একদিন আগে শুরু হয় ও একদিন পর শেষ হয়। এই সময় রাস্তা, মসজিদ, মাজার ও আবাসিক এলাকা সহ সারাদেশে বেশ কয়টি স্থান রঙিল আলোয় সাজানো হয়। সবুজ রং ইসলাম ও জান্নতের প্রতিনিধিত্ব করে। সকলে নতুন পোশাক পরে মিষ্টি বিতরণ করেন। মসজিদে যান। সুস্বাদু খাবার তৈরি করে। এভাবেই পালন করা হয় দিনটি।
আরও পড়ুন- Healthy Skin পেতে মেনে চলুন এই পাঁচটি টিপস, জেনে নিন কোন উপায় ত্বক হবে উজ্জ্বল