গরমের শুরুতেই ভোগাচ্ছে ডায়রিয়া? জেনে নিন কীভাবে মুক্তি মিলবে পেটের সমস্যা থেকে

সংক্ষিপ্ত

গরমকালে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ বাড়ে, বিশেষত ডায়েরিয়ার মতো রোগ। সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও পানীয়ের মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কিছু নিয়ম মেনে চললে সুস্থ থাকা সম্ভব।

গরম পড়তে না পড়তেই ভাইরাস ব্যাক্টেরিয়ার প্রকোপে বিদ্ধস্ত বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলেই। এই আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়ে মাথা চারা দেয় নানারকম রোগ ব্যাধি। এর থেকে সামলে উঠতে না উঠতেই বাচ্চা বুড়ো সকলেই প্রায় ভুগতে শুরু করে ডায়েরিয়ার মতো অসুখে। গরম পড়তে না পড়তেই ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া প্রকোপ বাড়ে, খাবারের মাধ্যমে, আবার কখনও জলবাহিত হয়ে সেই সব জীবাণু ঢুকে পড়ে শরীরে এবং খাদ্যনালিতে সংক্রমণ ঘটায়। শুধু তাই নয়, গরমে ঠান্ডা পানীয়ে চুমুক বা খাওয়াদাওয়ার সামান্য অনিয়ম সংক্রমণ আরও বাড়ায়।

চিকিৎসকদের মতামত :

Latest Videos

মেডিসিনের চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকাদার বলেন, ইকোলাই, সালমোনেল্লা, ভিব্রিয়ো কলেরির মতো ভাইরাসগুলোর দাপট বাড়ে গরমের সময়। অ্যাডেনোভাইরাসে সংক্রমণের ফলে সর্দিকাশি ও রোটাভাইরাসসের ফলে পেটের গোলমাল হয়। ইদানীংকালে নোরোভাইরাসের উপদ্রবও বেড়েছে।

চিকিৎসক অনির্বাণ দলুই উল্লেখ করেন, অন্ত্রে রয়েছে কিছু উপকারী অণুজীব, যা অন্ত্রের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায়। বাইরে থেকে আসা ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়াকে নিষ্ক্রিয় করে শরীর সুস্থ রাখে। এই ভাল-খারাপ ব্যাক্টেরিয়ার সমতা নষ্ট হলেও কিন্তু অন্ত্রে সমস্যা হয়। এই গরমে ভুলভাল খাওয়ার অভ্যাস অন্ত্রের ভাল ব্যাক্টেরিয়াগুলিকে নষ্ট করে দেয়। ফলে সামান্য খাওয়ার পরিবর্তন বা ঠান্ডা পানীয় খাওয়ার অভ্যাস বিপদ ডেকে আনে।

সুস্থ থাকবেন কীভাবে?

১. গরমের সময়ে এই ডায়রিয়ার উপদ্রব কমাতে চেষ্টা করুন। যত সম্ভাব হালকা, পেট ঠান্ডা রাখে এমন খাবার খান। ভাত, রুটি, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ইত্যাদি খাওয়া যেতেই পারে, তবে কম তেলে - মশলায় রান্না খাবার খেতে হবে। বেশি করে সবুজ শাকসব্জি ও ফল খেতে হবে।

২. খাদ্যতালিকায় রোজকার ডায়েটে সবুজ শাক - সবজি, টাটকা ফল রাখতে হবে।

৩. সকালে খালি পেটে চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস ছাড়তে হবে। এমনকি সারাদিনে কাজের চাপে বার বার ব্ল্যাক কফি খাবেন না।বেশি খেলেও পেটের সমস্যা হবে। কোষ্টকাঠিন্যের মতো রোগ হতে পারে।

৪. গরমে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা সব থেকে বেশি ভোগায়। সারাদিন পরিমানমতো জল তো খাবেনই, সাথে সকালে খালি পেটে মৌরি-মেথি ভেজানো জল বা জিরে ভেজানো জল খান। পেট ঠান্ডা থাকবে। প্রয়োজনে ORS বা স্যালাইন জল ও খেতে পারেন।

৫. রাস্তা থেকে শরবত, লস্যি, লেবুর জল বা কোনও রকম ঠান্ডা পানীয় খাওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে ছোটদের সবসময়ই জল ফুটিয়ে খাওয়ানোই ভাল, কারণ বাচ্চাদের ইমিউনিটি পাওয়ার প্রাপ্ত বয়স্কদের তুলনায় কম হয়। প্যাকেজেড হোক বা আঢাকা অপরিশোধত জল, পেটের অসুস্থতা বাড়াবেই।

৬.খোলা খাবার বা বাসি খাবার বেশিক্ষণ ফেলে রাখা বা না খাওয়াই ভাল। খাবার ঠান্ডা হয়ে গেলে আবার গরম করে খান। কারণ ফ্রিজে রাখা খাবারেও অনেক সময় ঠান্ডা থেকে ব্যাক্টেরিয়া জন্মায় যা ডায়েরিয়ার সমস্যা ডেকে আনতে পারে।

৭. রাস্তার কা‌টা ফল বা আঢাকা খাবার খাবেন না। খিদে পেলে গোটা ফল কিনে ভাল করে ধুয়ে, তবে খান। নাহলে হাইজিন মেনটেন করা খাবারের দোকান বা কোনো কম ক্ষতিকর প্যাকেজেড খাওয়ার খেতে পারেন খুব খিদে পেলে।

৮. ডায়েরিয়ায় যে পরিমাণ জল শরীর থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে, তার ঘাটতি পূরণের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অনুমোদিত ফর্মুলা মেনে তৈরি ORS খেতে হবে রুগীকে। ORS এর বিকল্প হিসেবে এক গ্লাস জলে এক চামচ চিনি ও এক চিমটে নুন মিশিয়ে সেই জলও খাওয়া যেতে পারে। পেট ও শরীরের জন্য ভালো কাজ দেয়।

Share this article
click me!

Latest Videos

‘ছিঃ মমতা! হিন্দু ধর্মকে নোংরা ধর্ম বলেন!’ মমতাকে চরম ধিক্কার শুভেন্দু অধিকারীর | Suvendu Adhikari |
বিনিয়োগে বসতে লক্ষ্মী পর্ব-১ | দেখুন কী বলছেন আর্থিক উপদেষ্টা কৌশিক ঘোষ | EXCLUSIVE