পাঁচ মেশালি সবজি হোক কিম্বা চচ্চড়ি কুমড়া ছাড়া যেন রান্না অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এ ছাড়া ডালের পাতে কুমড়া ভাজা বা সিদ্ধ হলেই যেন জমে যায়। কুমড়ার তো অঢেল গুণাগুণ রয়েছে। কিন্তু কুমড়া বীজের গুণাগুণ কতোটা জানেন কী?
পাঁচ মেশালি সবজি হোক কিম্বা চচ্চড়ি কুমড়া ছাড়া যেন রান্না অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এ ছাড়া ডালের পাতে কুমড়া ভাজা বা সিদ্ধ হলেই যেন জমে যায়। কুমড়ার তো অঢেল গুণাগুণ রয়েছে। কিন্তু কুমড়া বীজের গুণাগুণ কতোটা জানেন কী?
কুমড়ার মতোই এর বীজেও রয়েছে হাজার গুণাগুণ। এতে কী কী পুষ্টি উপাদান রয়েছে জানলে চমকে যাবেন। এতে রয়েছে ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। আসুন জেনে নেওয়া যাক রোজ কুমড়ার বীজ খেলে কী কী উপকারিতা মিলতে পারে।
১) ডায়াবিটিসে উপকারী- এতে প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। যা ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে ভীষণ ভাবে সাহায্য করে। তাই রোজ কুমড়ার বীজ খাওয়া ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
২) এতে ইনফ্লেমেটারি বৈশিষ্ট রয়েছে যা ব্যথা-বেদনার উপশম ঘটায়। পেটের ব্যথায় অত্যন্ত উপকারী কুমড়ার বীজ। এছাড়াও এই বীজ লিভার ও জয়েন্টের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় এই উপাদান হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। হার্টের সমস্যা দূর করতে ভীষণ সাহায্য করে এই বীজ।
৩) এ ছাড়াও এতে রয়েছে ট্রিপটোফ্যান, অ্যামিনো অ্যাসিড যা অনিদ্রা , এ ছাড়াও এতে রয়েছে কপার জিঙ্ক এবং সেলেনিয়াম যা ঘুমের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে।
৪) কুমড়ার বীজে অ্যান্টি ক্যান্সার প্রপার্টি রয়েছে। তাই ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে এই উপাদান।
৪) কুমড়োর বীজে থাকা ম্যাগনেসিয়াম হাড় মজবুত করতে ভীষণ উপকারী। কুমড়োর বীজ প্রচুর পরিমাণে খনিজ থাকে, যা হাড়ের ঘনত্ব এবং শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। সুতরাং, এটি সহজেই হাড় ভাঙা এবং অস্টিওপোরোসিসের মতো পরিস্থিতি রোধ করতে সহায়তা করতে পারে। ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি ক্যালসিয়ামের ঘাটতির সাথেও যুক্ত হয়েছে, যা হাড়কেও দুর্বল করে তোলে।
৫) এ ছাড়া ওজন কমাতেও সাহায্য করে কুমড়ার বীজ। এটি খেলে বহুক্ষণ পেট ভরা থাকে তাই অকারণ মেদ বাড়ে না।