স্ক্রিন টাইম ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাখুন, না হলে হতে পারে হার্টের ক্ষতি

Published : Mar 28, 2025, 05:35 PM IST
Mobile Phones

সংক্ষিপ্ত

Screentime effect:গবেষকেরা বলছেন, যারা দিনে ৩ বা ৪ ঘন্টার বেশি মোবাইল দেখে তাদের হার্টের সমস্যার ঝুঁকি বেশি ফোন থেকে বেরনো তড়িৎচুম্বকীয় রশ্মি মস্তিষ্কের উপর প্রভাব ফেলে। 

Screentime effect: সারাক্ষণ ধরে মোবাইলে রিল দেখা বা গেম খেলার অভ্যাস একদিকে হাইপারটেনশনের কারণ হয়ে উঠছে, অন্যদিকে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিচ্ছে বহুগুণে। আজকাল সমাজমাধ্যমের বিভিন্ন ক্ষেত্রগুলি ভীষণ জনপ্রিয় সবার কাছে, বাচ্চা থেকে বুড়ো বাদ নেই কেউই। যেন সীমাহীন বিনোদনের সম্ভার। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিন টাইম, বিশেষ করে ঘুমানোর আগে, তরুণ এবং মধ্যবয়সী প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি দেখা গেছে। এই অভ্যাস গুরুতর স্বাস্থ্যগত প্রভাব ফেলতে পারে। তবে তার প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব।

গবেষকেরা বলছেন, যারা দিনে ৩ বা ৪ ঘন্টার বেশি মোবাইল দেখে তাদের হার্টের সমস্যার ঝুঁকি বেশি ফোন থেকে বেরনো তড়িৎচুম্বকীয় রশ্মি মস্তিষ্কের উপর প্রভাব ফেলে। ফলে একদিকে যেমন স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হয়, তেমনই অন্যদিকে শরীরে হরমোনের ভারসাম্যও নষ্ট হতে থাকে। স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের ক্ষরণ বাড়তে থাকে। ফলে মনের উপর চাপও বাড়ে। মানসিক চাপ অনেকদিন ধরে জমে গেলে হাইপারটেনশনের সমস্যা বেড়ে যায়, বাড়ে উচ্চ রক্তচাপও।

‘আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিয়োলজি’ এবং ‘সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেশন’-এর তথ্য বেশ সতর্ক করছেন সাধারণ মানুষদের। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে একটানা ‘রিল’ দেখা, ভিডিয়ো গেম খেলার অভ্যাস রক্তচাপ ও মানসিক কিছু সমস্যাকে বাহবা দেয়। স্ক্রিনের দিকে একটানা তাকিয়ে থাকা এবং অহেতুক উত্তেজনা হৃৎস্পন্দনের গতির তারতম্য ঘটায়। এতে মেলাটোনিন নামক হরমোনেরও (ঘুমাচক্র নিয়ন্ত্রক) তারতম্য দেখা যায়। এই অভ্যাসের প্রভাব পড়তে পারে আপনার স্মৃতিশক্তির উপরেও। রেটিনার ক্ষতি করে মোবাইলের এই নীল আলো ও স্নায়ুতন্ত্রের উপরেও chap ফেলে।

স্ক্রিন টাইম কমাতে জরুরি পদক্ষেপ :

  1. ১. প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা রিল দেখা বন্ধ করতে হবে, দিনে কতটুকু সময় রইল দেখবেন তার জন্য অ্যাপ টাইমার ব্যবহার করুন।
  2. ২. ঘুমানোর আগের কমপক্ষে এক ঘন্টা কম্পিউটার বা ফোনের স্ক্রিনে সময় কাটানো এড়িয়ে চলুন। পরিবর্তে বই পড়া বা ধ্যান (meditation) করবে পারেন। ঘুম তাড়াতাড়ি আসবে, ও নিরবিচ্ছিন্ন ঘুম হবে।
  3. ৩. অলসভাব বা অবসর সময় মোকাবেলায় আপনার রুটিনে নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করুন। মন ও শরীর ঝরঝরে থাকবে। নিজের খাওয়া দাওয়ার ওপর নজর দিন।
  4. ৪. মানসিকভাবে ক্লান্তিকরবা বিরক্তিকর সিনেমা বা যেকোনো কিছু এড়িয়ে চলুন। তাতে সময়ে কাটানো বা মন ভুলিয়ে রাখতে রিলস দেখতে হবে না। নিজের পছন্দ মতো কোনো কাজ, যেমন - নাচ, গান, আবৃত্তি, আঁকা এসবে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।
  5. ৫. রাতে ভালো ঘুমের জন্য রোজকড় কিছু নিয়ম তৈরি করুন বা এমন পরিবেশ তৈরী করুন যা আপনার ঘুমকে উৎসাহিত করে, যেমন যেকোনো ইলেকট্রনিক গ্যাজেট শোবার ঘর থেকে দূরে রাখুন, আলো কমিয়ে দিয়ে কোনো সুগন্ধযুক্ত মোমবাতি বা ডিফিউজার গুলো ব্যবহার করা।   

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

চারিদিকে এই সময় কঞ্জান্টিভাইটিসের সংক্রমণ বাড়ছে, চোখ বাঁচিয়ে চলবেন কীভাবে জানুন
শীতকালীন অবসাদ জানেন কী হয়? মন ভালো করতে কেক বা চকলেট নয়, করুন এই কয়েকটি উপায়