পালিত হচ্ছে বিশ্ব শরণার্থী দিবস, বিশ্বজুড়ে থাকা শরণার্থীদের প্রসঙ্গে রইল বিশেষ কয়টি তথ্য

পালিত হচ্ছে বিশ্ব শরণার্থী দিবস। যুদ্ধ, নির্যাতন, হামলা-র মতো ঘটনার কারণে বিশ্ব জুড়ে বেড়েই চলেছে শরণার্থীর সংখ্যা। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয় সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তথ্য অনুসারে, ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্বে শরণার্থীর সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়ে গেয়েছে। শরণার্থী বা উদ্বাস্তুদের অধিকার, তাদের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ, নিপীড়ন ও অত্যাচারের হাত থেকে তাদের রক্ষা করতে পালিত হয় উদ্বাস্তু দিবস।

Sayanita Chakraborty | Published : Jun 20, 2022 4:19 AM IST

সারা বছরই কোনও না কোনও দিন পালিত হচ্ছে বিশেষ দিবস হিসেবে। বিশেষ উদ্দেশ্য পূরণের জন্য সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিত হয় সেই সকল দিন। জাতিসংঘ কতৃক নির্দিষ্ট করা হয়েছে সেই সকল দিন। সেই অনুসারে আজ পালিত হচ্ছে, বিশ্ব শরণার্থী দিবস। প্রতি বছর ২০ জুন দিনটি উদ্বাস্তু বা শরণার্থী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। 

শরণার্থী বা উদ্বাস্তুদের অধিকার, তাদের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ, নিপীড়ন ও অত্যাচারের হাত থেকে তাদের রক্ষা করতে পালিত হয় উদ্বাস্তু দিবস। বিশ্ব যুদ্ধের সময় উদ্বাস্তুদের সংখ্যা গোটা বিশ্বে ক্রমে বেড়েই গিয়েছে। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ডামাডোলের কারণে বহু মানুষ ঘরছাড়া হয়েছিলেন। তাদের জীবনে নেমে এসেছিল কঠিন সময়। আজদের দিনটি উৎসর্গ করা হয়েছে সেই সকল মানুষকে। 

প্রত্যেক বছর এই বিশেষ দিনে জাতিসংঘের তরফ থেকে একটি থিম নির্দিষ্ট করা হয়। গত বছরের থিম ছিল আমরা এক সঙ্গে শিখব, এক সঙ্গে সুস্থ থাকব ও উজ্জ্বল হব। এবছরের থিম হল, নিরাপত্তা চাওয়ার অধিকার।   

যুদ্ধ, নির্যাতন, হামলা-র মতো ঘটনার কারণে বিশ্ব জুড়ে বেড়েই চলেছে শরণার্থীর সংখ্যা। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয় সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তথ্য অনুসারে, ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্বে শরণার্থীর সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়ে গেয়েছে। এই সকল মানুষকে বাসস্থান, খাবার সব কিছু নিয়েই জটিল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। এই সকল অসহায় উদ্বাস্তু মানুষদের সাহায্য করতে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় এই বিশেষ দিনে। 

বিশ্বজুড়ে শরণার্থীদের সম্পর্কে রইল বিশেষ পাঁচটি তথ্য- 

৮৩ শতাংশ উদ্বাস্তু উন্নয়নশীল দেশে আশ্রয় নিয়েছে। বিশ্বব্যাপী উদ্বাস্তুদের ৪০ শতাংশের বেশি বল শিশু। 

বিশ্বের মোট শরণার্থীদের দুই-তৃতীয়াংশ মাত্র পাঁচটি দেশ যথা সিরিয়া, ভেনিজুয়েলা, দক্ষিণ সুদান, আফগানিস্তান ও মায়ানমার থেকে পালিয়ে এসেছেন। 

প্রায় ৭২ শতাংশ শরণার্থী প্রতিবেশী দেশে স্থানান্তরিত হয়। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুসারে, তুরস্ক সর্বাধিক সংখ্যাক শরণার্থী আছে। সেই সংখ্যআ হল ৩.৬ মিলিয়ন। দ্বিতীয় স্থানে আছে কলম্বিয়া। ১.৮ মিলিয়ন শরণার্থী আছে এখানে। 

৬ মিনিয়নের বেশি উদ্বাস্তু শিবিরে বসবাসকারী মানুষ নিপীড়ন, যুদ্ধের কারণে নিজেদের বাসস্থান ছেড়ে পালিয়ে এসেছে। বিশ্বে বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরগুলো মধ্যে একটি কেনিয়ার দাদাবে (Dadaab) অবস্থিত। ৩২৯,০০০ -র বেশি সংখ্যক মানুষের বসবাস সেই শরণার্থী শিবিরে।

আরও পড়ুন- দ্রুত গর্ভধারণ করতে চান? পাঁচ উপায় মুক্তি পারেন গর্ভধারণ সংক্রান্ত জটিলতা থেকে

আরও পড়ুন- খালি পেটে রোজ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খাচ্ছেন, এই কয়টি ভুলে হতে পারে মারাত্মক ক্ষতি

আরও পড়ুন- International Yoga Day 2022: নজরে থাক ডায়েট চার্ট, জেনে নিন যোগাসনের আগে বা পরে কী খাবেন  

 

Share this article
click me!